Narendra Modi

Punjab Assembly Election 2022: আপ-কংগ্রেসকে এক তিরে গাঁথার কৌশল মোদীর

পঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা প্রসঙ্গে আজ একটি শব্দও ব্যয় না করে মোদী উস্কে দেন ২০১৬-র সার্জিকাল স্ট্রাইকের স্মৃতি। উরি হামলার প্রত্যুত্তরে সীমান্ত পেরিয়ে এই অভিযান চালিয়েছিল ভারতের সেনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:২৪
Share:

ফাইল চিত্র।

ভারতীয় সেনা পাকিস্তানে ঢুকে সার্জিকাল স্ট্রাইক চালানোর পরে সেই অভিযানের প্রমাণ চেয়ে সরব হয়েছিল কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি (আপ)। পাক সীমান্তবর্তী পঠানকোটে দাঁড়িয়ে আজ এই দুই প্রতিপক্ষ দলকে পাকিস্তানের সুরে কথা বলার দায়ে কাঠগড়ায় তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, “এই দুই দল হল একই টাকার দুই পিঠ, যারা পাকিস্তানের সুরে কথা বলে।

Advertisement

রাজনীতির জগতের অনেকের মতে, পরিকল্পিত ভাবেই মোদী এ দিন দু’টি দলের বিরুদ্ধে এক সঙ্গে আক্রমণ শানিয়েছেন। এ বারের ভোটে পঞ্জাবে আপের জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকে ধারণা। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস ও আপকে এক বন্ধনীতে এনে, কার্যত দল দু’টির মধ্যে লড়াই উস্কে দিতে ও তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়াতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। যাতে দু’দলের ভোট ভাগাভাগির সুযোগ নিয়ে তৃতীয় দল হিসাবে বাজিমাত করতে পারে বিজেপি ও তার শরিকরা। মনে করা হচ্ছে, সেই কৌশলের অঙ্গ হিসাবেই অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের বিরোধিতা থেকে পঞ্জাব ও দিল্লি সরকারের ‘অপশাসন’— সব ক্ষেত্রেই কংগ্রেস এবং আপকে একই গোত্রে ফেলে বিঁধেছেন মোদী।

পঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা প্রসঙ্গে আজ একটি শব্দও ব্যয় না করে মোদী উস্কে দেন ২০১৬-র সার্জিকাল স্ট্রাইকের স্মৃতি। উরি হামলার প্রত্যুত্তরে সীমান্ত পেরিয়ে এই অভিযান চালিয়েছিল ভারতের সেনা। কংগ্রেস ও আপকে নিশানা করে মোদী বলেন, “সে সময়ে সার্জিকাল স্ট্রাইকের প্রমাণ চেয়ে আসলে পাকিস্তানের সুরে ভারতীয় সেনার বীরত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ওই দুই দল।”

Advertisement

পঞ্জাবে বিজেপির দুই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে মোদী টেনে এনেছেন হিন্দুত্বের প্রসঙ্গও। তাঁর কথায়, “যখন অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়, তখন কংগ্রেসের সঙ্গেই আপত্তি জানিয়েছিল আপ। আসলে এরা একই দল। কেবল এ রাজ্যে লোক দেখানো লড়াই লড়ছে। কংগ্রেস যদি আসল হয়, তা হলে আপ তার ফোটোকপি।”

পঞ্জাবের কংগ্রেস ও দিল্লির আপ সরকারের ‘অপশাসনের’ বিরুদ্ধেও সরব হন মোদী। পঞ্জাববাসীকে সতর্ক করতে বলেন, “পঞ্জাবে যেমন কংগ্রেস সরকার যুব সমাজকে ড্রাগের নেশার দিকে ঠেলে দিয়েছে, তেমনই দিল্লির সরকার রাজধানীর যুবকদের মদের নেশা করার উৎসাহ দিচ্ছে।”

কংগ্রেসের অতীত ভূমিকা নিয়ে বরাবরই সরব মোদী ও তাঁর বাহিনী। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। জাতীয়তাবাদের সঙ্গে শিখ অস্মিতাকে উস্কে দিতে মোদী সামনে আনেন কর্তারপুর সাহিবের প্রসঙ্গ। গুরু নানক দেবের এই প্রয়াণস্থল দেশভাগের সময় পাকিস্তানে পড়েছে। বর্তমানে যা ভারতের সঙ্গে একটি করিডরের মাধ্যমে যুক্ত। দেশভাগের সময়ে কর্তারপুর করিডরকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়ে কংগ্রেস ‘পাপ’ করেছিল বলে অভিযোগ করেন মোদী। বলেন, “১৯৬৫ বা ১৯৭১-এর যুদ্ধে সেই পাপ থেকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ ছিল কংগ্রেসের। কিন্তু আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে থাকা কর্তারপুর সাহিবকে এ দেশের সীমান্তের সঙ্গে যুক্ত করার সাহস হয়নি তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement