সেই গাড়ি এবং শিক্ষানবিশ আমলা পূজা খেড়কর (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
খাতায়কলমে তিনি শিক্ষানবিশ আমলা। যদিও হাবভাবে প্রভাবশালীদের টেক্কা দেন। মহারাষ্ট্র সরকারের অধীনে এক বছর আগে কাজে যোগ দিলেও এরই মধ্যে তাঁর গাড়িতে লেগেছে ভিআইপি স্টিকার। গাড়ির ছাদে লাগানো হয়েছে মন্ত্রীদের মতো লাল-নীল ‘বিকন’ আলো। এমনকি, রাজ্য সরকারের সরকারি বোর্ডও আটকানো হয়েছে গাড়িতে। যা শুধুমাত্র পদস্থ আমলারাই ব্যবহার করতে পারেন! বুধবার পুণের ওই শিক্ষানবিশ আমলাকে ‘শাস্তি’ দিল মহারাষ্ট্র প্রশাসন। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।
পুণের ওই শিক্ষানবিশ আমলার নাম পূজা খেড়কর। তিনি ২০২৩ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার। মহারাষ্ট্র সরকারের অধীনে কাজে যোগ দেওয়ার এক বছরও পূর্ণ হয়নি তাঁর। ইতিমধ্যেই তাঁর নামে অভিযোগ গিয়েছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যসচিবের কাছে। অভিযোগ করেছেন পূজার ঊর্ধ্বতন অফিসার পুণের জেলাশাসক তথা সুভাষ দিওয়াসে। সূত্রের খবর, জেলাশাসকের লেখা অভিযোগের চিঠির ভিত্তিতেই পদক্ষেপ করা হয়েছে পূজার বিরুদ্ধে।
পূজার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জেলাশাসকের কাছে এমন কিছু সুবিধা দাবি করেছিলেন, যা একজন শিক্ষানবিশ আমলাকে দেওয়া হয় না। যেমন, ভিআইপি নম্বরপ্লেট লাগানো সরকারি গাড়ি, সরকারি বাংলো, অফিশিয়াল চেম্বার, কাজে সাহায্য করার জন্য কিছু অধস্তন কর্মী এমনকি, একজন কনস্টেবলও চেয়েছিলেন পূজা।
প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী এক জন শিক্ষানবিশ আমলা পদোন্নতির পরে ‘গেজেটেড অফিসার’ হলেই উক্ত সুবিধাবলি পেয়ে থাকেন। কিন্তু পূজা সে সবের পরোয়া না করেই ওই দাবি জানান এবং না পেয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসকের চেম্বার দখল করে নিজের নামের ফলক লাগিয়ে দেন। নিজের নামে লেটারহেড, ভিজ়িটিং কার্ড, পেপারওয়েট, সিলমোহরের স্ট্যাম্প এবং ইন্টারকমেরও দাবি করেন পূজা। ওই সব সুবিধা পূজাকে দেওয়ার জন্য তাঁর ‘প্রাক্তন আমলা’ বাবা পুণের জেলাশাসককে ফোন করে চাপও দেন বলে অভিযোগ। এর পরেই পূজাকে বদলি করা হয় পুণে থেকে দূরে ওয়াসিমে একটি আপাত-গুরুত্বহীন পদে। প্রশ্ন উঠেছে তাঁর চাকরি পাওয়া নিয়েও।