ফাইল চিত্র।
পুণের পোর্শেকাণ্ডে ঘটনার প্রায় দু’মাস পর আদালতে ৯০০ পাতার চার্জশিট জমা দিল পুলিশ। ঘটনাচক্রে, ৯০০ পাতার সেই চার্জশিটে সাত জনকে অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করা হলেও, নামই নেই সেই কিশোরের। পুলিশ সূত্রে খবর, চার্জশিটে ৫০ জন সাক্ষীর বয়ান উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আদালতে পোর্শেকাণ্ডের চার্জশিট পেশ করে পুণে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, যে হেতু জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড (জেজেবি)-এর অধীনে রয়েছে কিশোরের মামলাটি তাই তার নাম চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়নি। তবে যে জনকে অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাট-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেশ বলকবড়ে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার পুণের এক আদালতে সাত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৯০০ পাতার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। সেই চার্জশিটে কিশোরের বাবা-মা, সসুন জেনারেল হাসাপাতালের দুই চিকিৎসক, এক কর্মী এবং আরও দুই ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ৫০ জনের সাক্ষীও নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও দুর্ঘটনাস্থল, ফরেন্সিক রিপোর্ট এবং ডিএনএ রিপোর্টও উল্লেখ করা হয়েছে ওই চার্জশিটে।
গত মাসেই পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্ত কিশোরকে সংশোধনাগার থেকে মুক্তির আদেশ দেয় বম্বে হাই কোর্ট। কিশোরকে তার ঠাকুরমার হেফাজতে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এই ঘটনায় কিশোরের বাবা-মা এখনও জেলবন্দি। গত ১৯ মে পুণের কল্যাণী নগরে দুই তরুণ ইঞ্জিনিয়ারকে পোর্শে দিয়ে পিষে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কিশোরের বিরুদ্ধে।