মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা (অজিত পওয়ার গোষ্ঠী) বাবা সিদ্দিকি। —ফাইল চিত্র।
বাবা সিদ্দিকিকে খুনের পরিকল্পনা ভেস্তে গেলে ‘প্ল্যান বি’ তৈরি রেখেছিল দুষ্কৃতীরা। সে ক্ষেত্রে তাদের বিকল্প ‘টার্গেট’ হতেন পুণের এক নেতা। তদন্তের মাধ্যমে এমনটাই জানতে পেরেছে মুম্বই পুলিশ। তাদের অপরাধদমন শাখা ওই বিকল্প পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত এক জনকে গ্রেফতার করেছে। দাবি, পুলিশি জেরার মুখে তিনি স্বীকার করেছেন, তাঁকে পুণের এক নেতাকে খুনের জন্য ভাড়া করা হয়েছিল। তবে সিদ্দিকি হত্যার পরিকল্পনা সফল হওয়ায় তাঁর ডাক পড়েনি। একটি পিস্তলও উদ্ধার করেছে পুলিশ। দ্বিতীয় পরিকল্পনায় সেই পিস্তল ব্যবহার করা হতে পারত।
মুম্বই পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, সিদ্দিকি হত্যার নেপথ্যে মুম্বইয়ের জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইয়ের গোষ্ঠীর হাত রয়েছে। তাঁর ভাই আনমোল বিশ্নোইয়ের সঙ্গে খুনিদের কথা হয়েছিল বলেও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, দাবি তদন্তকারীদের। ওই গোষ্ঠীই বিকল্প পরিকল্পনা করে রেখেছিল। তদন্তের স্বার্থে পুণের ওই নেতার পরিচয় প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তবে পুণে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে তাদের অবগত করেছে মুম্বই পুলিশ।
শুক্রবার সিদ্দিকি খুন-কাণ্ডে গৌরব নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, পুণের নেতাকে খুনের বরাত দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। গত জুলাই মাসে তিনি ঝাড়খণ্ডে গিয়েছিলেন প্রশিক্ষণের জন্য। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রূপেশ মোহোল নামের আরও এক জন। ঝাড়খণ্ডে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, কী ভাবে খুন করতে হবে। গোটা পরিকল্পনার নেপথ্যে শুভম লোঙ্কার ছিলেন বলে দাবি করেছেন ধৃত। শুভমই সিদ্দিকি খুনের অন্যতম মূল চক্রী। তাঁকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ১২ অক্টোবর মুম্বইয়ের বান্দ্রায় এনসিপি নেতা সিদ্দিকিকে গুলি করে খুন করা হয়। তিন জন আততায়ী ছিলেন ঘটনাস্থলে। তবে দু’জনকে গ্রেফতার করতে পারলেও মূল হত্যাকারী পালিয়ে যায়। পরে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিদ্দিকি খুনের পরেই বলিউড অভিনেতা সলমন খানকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। তাঁর সঙ্গে বিশ্নোই গোষ্ঠীর শত্রুতা অনেক দিনের। ফলে তাঁর নিরাপত্তাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।