Porsche Car Crash

ব্যবসায়ী-পুত্রকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা! আরও বিপাকে পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্ত কিশোরের বাবা-দাদু!

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে, কাটুরের পুত্র শশীকান্তকে ক্রমাগত হয়রানি করতেন বিশাল এবং তাঁর বাবা সুরেন্দ্র। তাঁদের কাছ থেকে ইমরাতি ব্যবসার জন্য ঋণ নিয়েছিলেন শশীকান্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৪ ১২:৩২
Share:

ফাইল চিত্র।

পুণের পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্ত কিশোরের বাবা বিশাল আগরওয়াল এবং দাদু সুরেন্দ্র আগরওয়ালের বিরুদ্ধে এ বার নতুন একটি মামলা দায়ের করল পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে এ বার স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর পুত্রকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ডিএস কাটুরে বিশাল এবং সুরেন্দ্রের বিরুদ্ধে তাঁর পুত্রের আত্মহত্যার জন্য দায়ী করে বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের করেছেন। প্রসঙ্গত, এ বছরের জানুয়ারিতে ব্যবসায়ী-পুত্র আত্মহত্যা করেছিলেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে, কাটুরের পুত্র শশীকান্তকে ক্রমাগত হয়রানি করতেন বিশাল এবং তাঁর বাবা সুরেন্দ্র। তাঁদের কাছ থেকে ইমরাতি ব্যবসার জন্য ঋণ নিয়েছিলেন শশীকান্ত। কিন্তু সময় মতো টাকা শোধ করতে না পারায় তাঁকে শাসানো হত, ধমকানো হত। শশীকান্তের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করে ক্রমাগত হয়রানি করতেন বিশাল এবং সুরেন্দ্র। তাঁদের চাপেই আত্মহত্যা করেন শশীকান্ত।

এই ঘটনার পরই ব্যবসায়ী ডিএস কাটুরে চন্দননগর থানায় দু’জনের বিরুদ্ধে আভিযোগ দায়ের করেন। বিশাল এবং সুরেন্দ্রের বিরুদ্ধে ৩০৬ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। এ বার পুণে পুলিশও এই দু’জনের বিরুদ্ধে নতুন করে ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করল। পুলিশ সূত্রে খবর, পোর্শেকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে ব্যবসায়ী-পুত্রকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলাটি তাদের হাতে আসে। তদন্তকারী এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, পোর্শেকাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে কিশোরের বাবা, দাদু এবং আরও তিন জনের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর পুত্রকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা হাতে আসে তাঁদের। তার পর ওই দু’জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

পোর্শেকাণ্ডের পর পুত্রকে আইনি এবং পুলিশি ঝামেলা থেকে বাঁচানোর জন্য তাঁদের পারিবারিক গাড়িচালককে অপহরণ, মারধর, ধমকানো এবং এই ঘটনার দায় নিতে বাধ্য করানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল বিশাল এবং সুরেন্দ্রের বিরুদ্ধে। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পুত্রের রক্তের নমুনা বদলে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন কিশোরের মা-ও। গত ১৯ মে পুণের কল্যাণী নগরের কাছে দুই তুরণ ইঞ্জিনিয়ারকে পোর্শে দিয়ে চাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কিশোরের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় ‘অবজ়ার্ভেশন হোমে’ বন্দি অভিযুক্ত কিশোর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement