গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
পুলওয়ামার আত্মঘাতী হামলার রেশ কাটার আগেই ফের বড়সড় ফিদায়েঁ হামলা চালাতে পারে জইশ জঙ্গিরা। পুলওয়ামার ঘটনার তদন্তে নেমে সোশ্যাল মিডিয়াতে ‘তানজিম’-দের একটি এনক্রিপটেড গ্রুপের বার্তা বিনিময় থেকে ধারণা করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে ওই বার্তায় বলা হয়েছে— ‘ ইস বার উসসে বড়া খিলোওনা তৈয়ার হ্যায়’। গোয়্ন্দারা মনে করছেন ‘খিলোওনা’ বলতে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ির কথাই বলা হচ্ছে। কাশ্মীর উপত্যকায় তানজিম বলতে বোঝায়, জিহাদিদের সাহায্যকারী ছোট ছোট দল যারা জিহাদিদের লিঙ্কম্যান হিসাবে কাজ করে থাকে। এ রকমই একটি তানজিম থেকে ওই বার্তা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে গোয়েন্দা সূত্রে।
ওই সতর্ক বার্তা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা সেনা গোয়েন্দা, আধাসামরিক বাহিনী এবং কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে আদান প্রদান করেছেন।
আরও পড়ুন: ইমরান নয়, পুলওয়ামার পর সন্ত্রাস-তথ্য বিশ্বকে দেওয়ার ভাবনা ভারতের
গোয়েন্দাদের দাবি ওই বার্তা ধরে আরও কিছু তথ্য তাঁদের হাতে এসেছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী এবার হামলার নিশানা হতে পারে কুপওয়ারা জেলার চৌকিবল এবং টাঙধারের মধ্যে কোনও জায়গা। এই রাস্তায় একাধিক সেনা শিবির রয়েছে। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা কোনও সেনা শিবিরও হামলার টার্গেট হতে পারে।
আরও পড়ুন: সার্জিকাল স্ট্রাইকে পাকিস্তানের সেনা আদৌ ভয় পায়নি
গোয়েন্দারা নিশ্চিত, পুলওয়ামার হামলায় যুক্ত আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল হাসান দার কে নিয়ে নতুন কোনও ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনতে চলেছে জইশ। কারণ তাঁরা ওই ধরনের ভিডিয়ো ছড়িয়ে এক দিকে নিজেদের প্রচার করে থাকে, পাশাপাশি নিজেদের দলে তরুণ এবং কিশোরদের টানতেও ব্যবহার করা হয় ওই ধরনের ভিডিয়ো।
তবে গোয়েন্দাদের একটা অংশের সন্দেহ, খুব পরিকল্পিত ভাবে ভারতীয় গোয়েন্দাদের ভুল পথে পরিচালিত করতে হয়তো এ ধরনের বার্তা চালাচালি করছে জইশ জঙ্গিরা। সেই কারণেই পুলওয়ামার ঘটনার পরেই রাজ্যের তিনটি বিমান বন্দর জম্মু, শ্রীনগর এবং লেহ-তে নিরাপত্তা ঢেলে সাজা হচ্ছে। সেখানে প্রায় ১২০০ অতিরিক্ত সিআইএসএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। রাখা হচ্ছে আইইডি নিরোধী গাড়ি, বিস্ফোরক চিহ্নিতকরণের অত্যাধুনিক যন্ত্র। কারণ গোয়েন্দাদের ভুল পথে পরিচালিত করে বিমান বন্দরেও হামলার চেষ্টা চালাতে পারে জঙ্গিরা, মনে করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের শীর্ষ কর্তারা।