আলিঙ্গন: সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনকে স্বাগত জানাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
আগামিকাল সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমনের প্রশ্নে পাকিস্তানের ব্যর্থতার কথা তুলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কূটনৈতিক সূত্রে এ কথা জানা গিয়েছে।
এক দিন আগেই পাকিস্তানে গিয়ে সে দেশকে ঢেলে অর্থ এবং নীতিগত সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন সলমন। বিষয়টি নিয়ে ভারতে এই মুহূর্তে প্রবল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তান ও সৌদি আরব যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছিল, সেখানে সৌদির আর্থিক সহায়তা বা পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া, ওই দু’দেশের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে জঙ্গিদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হোক।
পুলওয়ামা সন্ত্রাসের পরে জইশ নেতা মাসুদ আজহারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য আন্তর্জাতিক শিবিরকে একমঞ্চে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি। এই সময়ে সৌদির এই পদক্ষেপ একটা বড় ধাক্কা সাউথ ব্লকের কাছে। সৌদিকে পাশে টানতে ঠিক করা হয়েছে, সন্ত্রাসদমনে গত দশ বছরে পাকিস্তান যে কিছুই করে উঠতে পারেনি সে বিষয়ে বিশদে জানানো হবে সৌদি যুবরাজকে। কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেলের দাবি, সরকারের উচিত এই মুহূর্তে পাকিস্তান নিয়ে ভারতের মনোভাবটা ঠিক কী, তা স্পষ্ট করে সৌদি যুবরাজকে বুঝিয়ে বলা।
আজ সন্ধ্যায় দিল্লি এসে পৌঁছেছেন সলমন। সন্ত্রাস নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি আগামিকাল রয়েছে ভারত-সৌদি একাধিক চুক্তি সই এবং শীর্ষ পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলি। স্থির হয়েছে, দু’দেশের মধ্যে একটি ‘স্ট্র্যাটেজিক কাউন্সিল’ গড়ার কথা ঘোষণা হবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দু’তরফের বড় মাপের সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি হওয়ার কথাও রয়েছে। প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের যৌথ উৎপাদন, যৌথ নৌ-মহড়ার মতো বিষয়গুলিও থাকছে এর মধ্যে।