পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় নিহত সিআরপিএফ জওয়ানদের স্মরণ। নয়াদিল্লিতে পিটিআইয়ের তোলা ছবি।
বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের কনভয়ে জঙ্গি হামলা ঘিরে উত্তপ্ত উপত্যকা। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার জেরে কার্যত জ্বলছে জম্মু। কার্ফু উপেক্ষা করেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বিভিন্ন এলাকা। বহু গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ রাস্তায় বেরোননি। দিনভর খোলেনি দোকানপাট। পাকিস্তান বিরোধী স্লোগান, মিছিল, গাড়িতে ভাঙচুর-আগুন, জনতা পুলিশ সংঘর্ষ— বাদ গেল না কিছুই। তবে পুলওয়ামার জঙ্গি হামলা নিয়ে বেশ কতগুলি প্রশ্ন সামনে আসছে। সেগুলো হল:
• সম্ভাব্য হামলার তথ্য পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা (সিগন্যাল ডিভিশন)। ৮ ফেব্রুয়ারি সতর্কতা জারি করা হয়। সাত দিন কেটে যাওয়ায় সতর্কবার্তাটিকে রুটিন ধরে নিয়ে গা-ছাড়া মনোভাব দেখানো হয়। কেন?
• বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীর হাইওয়েতে কনভয়ের গতিবিধির খবরাখবর পাঠাচ্ছিল জঙ্গিরা। কী ভাবে?
আরও পড়ুন: ‘বহুত বড়ি গলতি’, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষার হুঁশিয়ারি মোদীর, সেনাবাহিনীকে ‘স্বাধীনতা’
• কনভয়ে গাড়ি ছিল ৭৮টি। বড় কনভয় হলে হামলার আশঙ্কা বেড়ে যায়। আর জইশ দু’দিন আগে ভিডিয়োয় কাশ্মীরে গাড়িবোমা হামলার হুমকি দিয়েছিল। তা হলে আকাশপথে জওয়ানদের নেওয়া হয়নি কেন?
• বৃহস্পতিবার শ্রীনগরগামী রাস্তাটি কনভয় যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হলেও, পাশের রাস্তাটি (জম্মুগামী) সাধারণের যাতায়াতের জন্য খোলা ছিল। কেন এই গাফিলতি?
• কাশ্মীরের ‘দায়িত্বে’ ছিলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। বিরোধীদের অভিযোগ, তাঁকে ‘ব্যস্ত’ রাখা হয় ‘অন্য অনেক কাজে’। কিন্তু কেন?