Bengali news

মোদী জমানার ৫ বছরে বড় ১০ হামলা

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই সব হামলার টার্গেট— নিরাপত্তা বাহিনী। প্রাণ গিয়েছে নিরীহ মানুষেরও। এই ধরনের ১০টি বড় হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৯৪ জন পুলিশকর্মী ও জওয়ান।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৬:২৮
Share:

২০১৪ থেকে ২০১৯— মোদী জমানার এই পাঁচ বছরে তীব্র হয়েছে জঙ্গি দমন অভিযান। কিন্তু তার সঙ্গেই তীব্রতর হয়েছে জঙ্গি নাশকতাও। জঙ্গি হামলায় বারে বারে রক্তাক্ত হয়েছে পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া উত্তর-পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন অংশ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই সব হামলার টার্গেট— নিরাপত্তা বাহিনী। প্রাণ গিয়েছে নিরীহ মানুষেরও। এই ধরনের ১০টি বড় হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৯৪ জন পুলিশকর্মী ও জওয়ান।

Advertisement

২০ মার্চ, ২০১৫: জম্মুর কাঠুয়া জেলার রাজবাগ থানায় আত্মঘাতী হামলা চালায় আত্মঘাতী জঙ্গিরা ৩ নিরাপত্তাকর্মী সহ ৬ জন নিহত হন, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১ জঙ্গির মৃত্যু হয়।

২৭ জুলাই, ২০১৫: ভোরবেলা পঞ্জাবের গুরদাসপুর জেলার দীনানগর বড়সড় নাশকতা চালায় জঙ্গিরা। প্রথম টার্গেট করা হয় একটি যাত্রীবোঝাই বাস, তার পর গুরদাসপুর থানায় চলে গুলিবৃষ্টি। গোটা ঘটনায় ৪ পুলিশকর্মী প্রাণ হারান, মৃত্যু হয় ৩ নাগরিকের। ৩ জঙ্গিও নিহত হয়। পরে অমৃতসর— পঠানকোটের রেলব্রিজ থেকে ৫টি বোমাও উদ্ধার হয়।

Advertisement

২ জানুয়ারি, ২০১৬ পঠানকোট— খাস পশ্চিম এয়ারকম্যান্ডের সদর দফতরে ফিদায়েঁ হামলা। সেনাবাহিনীর পোশাকে নাশকতা আত্মঘাতী জঙ্গিদের। নিহত হন ৭ নিরাপত্তাকর্মী, খতম ৪ জঙ্গি।

২৪ জুন, ২০১৬: এ বার ঘটনাস্থল জম্মুর পাম্পোর। শ্রীনগর জম্মু জাতীয় সড়কে সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা চালাল লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিরা। নিহত হন ৮ জওয়ান। নিরাপত্তাবাহিনীর পাল্টা আঘাতে ২ জঙ্গি মারা যায়।

আরও পড়ুন: ‘সন্ত্রাসকে ভয় করি না, অন্য ছেলেকেও দেশের কাজেই পাঠাব’, বলছেন নিহত জওয়ানের বাবা

এরইমধ্যে ৬ জুলাই সেনার জঙ্গি দমন অভিযানে হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যু হয়। উপত্যকায় অশান্তির আগুনে ঘি পড়ে। বুরহানের মৃত্যুর বদলা নেওয়ার ডাক দেয় জঙ্গি সংগঠনগুলি।

ঠিক তার দু’মাসের মধ্যেই উরিতে সেনার হেডকোয়ার্টারে আঘাত হানে জইশ-ই-মহম্মদ।

আরও পড়ুন: আগামী বছরই অবসর নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বাবলুর, কিন্তু তার আগেই সব শেষ

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬: ভোরে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ১৯ সেনার মৃত্যু। নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে ৪ জঙ্গির মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: সরকার ও সেনার পাশেই রয়েছে বিরোধীরা, এটা শোকের সময়, বললেন রাহুল

আরও পড়ুন: ইসলামাবাদকে বোঝাতে পারেনি ওয়াশিংটন, বলছেন মার্কিন বিশেষজ্ঞরা

৩ অক্টোবর, ২০১৬: ফের টার্গেট সেনা ঘাঁটি। এ বার হামলা হয় বারামুলায় রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ছাউনিতে। প্রাণ হারান ৩ জওয়ান। ২ হামলাকারীরও মৃত্যু হয়।এর ঠিক ৩ দিনের মধ্যে ফের সেনা ক্যাম্পে জঙ্গি হানা।

উরিতে জঙ্গি হামলায় নিহত জওয়ানকে শেষ শ্রদ্ধা। ফাইল চিত্র।

৬ অক্টোবর, ২০১৬: কুপওয়ারা জেলার হান্দওয়ারায় সেনা ক্যাম্পে হামলা চলে। সেনার গুলিতে নিহত ৩ জঙ্গির থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার হয়।

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতকে তলব, পাকিস্তান আর ‘সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ’ নয়, ঘোষণা ভারতের

২৯ নভেম্বর, ২০১৬: জম্মুর নাগরোটায় পুলিশের পোশাকে ৩ জঙ্গি সেনার ১৬৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট ইউনিটের উপর হামলা চালায়। ১০ সেনার মৃত্যু হয়। হামলার দায় নেয় জইশ-ই-মহম্মদ।

সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানেন? খেলুন কুইজ

আরও পড়ুন: হামলার মূল্য চোকাতেই হবে দোষীদের, হুঁশিয়ারি মোদীর, নাম না করে কড়া বার্তা পাকিস্তানকেও

১১ জুলাই, ২০১৭: এ বারও লস্কর জঙ্গিদের টার্গেট ছিল সিআরপিএফ এবং পুলিশ। তবে অনন্তনাগে সেই হামলার বলি হন সাধারণ মানুষ। জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় অমরনাথের যাত্রীবোঝাই বাস। প্রাণ যায় ৮ জনের।

পঠানকোটে হামলার পর বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। ফাইল চিত্র।

আরও পড়ুন: শ্রীনগরে রাজনাথ, কাঁধে নিলেন জওয়ানের কফিন

১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯: শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়কে সিআরপিএফ-এর কনভয়ে জঙ্গি হানা। জইশ-ই-মহম্মদের আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারালেন অন্তত ৪০ জওয়ান।

(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement