পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। পিটিআই
পুদুচেরি সরকারে সঙ্গে লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর কিরণ বেদির সংঘাত চরমে পৌঁছল। রবিবার সাধারণতন্ত্র দিবসের উদ্যাপন মঞ্চেই মেজাজ হারালেন মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। নেমেও গেলেন মঞ্চ থেকে। কংগ্রেসের দাবি, এই অপ্রীতিকর ঘটনার জন্যে কিরণ বেদিকে ক্ষমা চাইতে হবে। কিরণ বেদিও মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়নস্বামীর ক্ষমাপ্রার্থনার দাবিতে সরব।
ঘটনার সূত্রপাত ২০২০ সালের দুই পদ্মসম্মান প্রাপকের সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে। পদ্মসম্মান প্রাপক লেখক মনোজ দাস এবং টেরাকোটা শিল্পী ভিকে মুনিস্বামীকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্যে আমন্ত্রণ করা হয়। তাঁদের লেফ্টেন্যান্ট গভর্নরের বাসভবন রাজনিবাসে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন নারায়ণস্বামীও। তাঁকে আহ্বান জানানো হয়, এই দুই শিল্পীকে শাল পরিয়ে বরণ করে নেওয়ার জন্যে। তখনই বেঁকে বসেন তিনি। বলেন, তাঁকে এই অনুষ্ঠানে শাল দেওয়া হবে সেই কথা আগে জানানোই হয়নি।
কিরণ বেদি পাল্টা বিবৃতি দিয়ে বলছেন, ‘‘আমরা দু’জন জাতীয় স্তরের নায়ককে সম্মানজ্ঞাপন করতে চেয়েছিলাম। খুবই অল্প সময়ের নোটিসে তাঁরাও অনুষ্ঠানে আসার বিষয়ে রাজি হন। আমাদের কন্ট্রোলার আশা গুপ্ত মনে করেছিলেন, শাল প্রদানের জন্যে মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকাই সমীচিন হবে।’’ কিরণ বেদি আরও বলছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টাকে উৎসাহিত তো করেনইনি উল্টে ভিকে মুনিস্বামীর সামনেই বলতে থাকেন, তাঁর আগাম অনুমোদন ছাড়া এই ধরনের সংবর্ধনার সিদ্ধান্ত কী করে নেওয়া হল।’’এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করার জন্যেই নারায়ণস্বামীর ক্ষমাপ্রার্থনা দাবি করেন কিরণ বেদী।
আরও পড়ুন:অভিজিৎকে ডি লিট, বিক্ষোভে সমাবর্তন থেকে ফিরে গেলেন রাজ্যপাল
আরও পড়ুন:তিহাড়ে যৌন হেনস্থার অভিযোগ নির্ভয়াকাণ্ডে দণ্ডিত মুকেশের
কিরণ বেদীর সঙ্গে পুদুচেরি সরকারের অশান্তি নতুন নয়। ২০১৬ সালেই কংগ্রেস অভিযোগ আনে লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর প্রশাসনিক কাজে নাক গলাচ্ছেন, উন্নয়নমূলক কাজে বাধা দিচ্ছে। মাদ্রাজ হাইকোর্ট ২০১৯ সালে রায় দেয় পুদুচেরি সরকারের আর্থিক ও প্রশাসনিক কাজে নাক গলাতে পারবে না লেফটেন্যান্ট গভর্নর।