গ্রামের রাস্তা নিজেই মেরামত করে দিল ১৩ বছরের স্কুলছাত্র। ফাইল ছবি।
গ্রামের রাস্তায় হোঁচট খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দাদু। সেই রাস্তা তাই নিজেই মেরামত করতে এগিল এল কিশোর। ইট-বালি-সুড়কি হাতে নিজেই সে বুজিয়ে দিল রাস্তার গর্ত। তার কীর্তির প্রশংসায় পঞ্চমুখ গ্রামবাসীরা।
ঘটনাটি পুদুচেরীর ভিলুপ্পুরমের। ১৩ বছরের ওই কিশোরের নাম মাসিলামানি। সে স্থানীয় স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। সম্প্রতি তার দাদু গ্রামের রাস্তায় মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে পড়ে যান। হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় তাঁকে। তাঁর হাড়ে চিড় ধরেছে। দাদুর এই পরিণতি দেখে নিজেই রাস্তা মেরামতের জন্য উদ্যোগী হয় কিশোর।
গ্রামেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বালি, ইট, সুড়কি সংগ্রহ করে সে। তার পর সিমেন্টের সঙ্গে তা মিশিয়ে লেপে দেয় রাস্তার গর্তগুলিতে। যে গর্তে হোঁচট খেয়ে তার দাদু পড়ে গিয়েছিলেন, সেই গর্তও বুজিয়ে দিয়েছে ছাত্র।
তার কীর্তি দেখে গ্রামবাসীরা উচ্ছ্বসিত। খুশি হয়ে অনেকে তাকে অনেক রকম উপহার দিয়েছেন। ওই এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক ছাত্রটিকে একটি বই উপহার দিয়েছেন।
মাসিলামানি জানিয়েছে, সে চায় না তার দাদুর সঙ্গে যা হয়েছে, তা গ্রামের আর কারও সঙ্গে হোক। খারাপ রাস্তার জন্য আর কাউকে যাতে চোট না পেতে হয়, সেই ব্যবস্থা করেছে সে।
গ্রামের রাস্তার দশা দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। কিন্তু অভিযোগ, বার বার বলা সত্ত্বেও কেউ রাস্তা মেরামতের জন্য উদ্যোগী হননি। গত ৭ বছর ধরে একই অবস্থায় পড়ে থাকার পর স্কুলছাত্রের হাত ধরে রাস্তার সংস্কার হল।