জামিয়াতেও কাঠগড়ায় উঠল পুলিশ

রিপোর্টে বক্তব্য, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ দেখাচ্ছিলেন পড়ুয়ারা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৫৯
Share:

জামিয়া ক্যাম্পাসে রক্তের চিহ্ন। —ফাইল চিত্র।

আলিগড়ের পরে এ বার জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাতেও ‘পিপলস ইউনিয়ন ফর ডেমোক্র্যাটিক রাইট’ (পিইউডিআর)-এর রিপোর্টে কাঠগড়ায় উঠল পুলিশ।

Advertisement

রিপোর্টে বক্তব্য, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ দেখাচ্ছিলেন পড়ুয়ারা। তাঁদের আক্রমণ করে দিল্লি পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে সেখানে ভাঙচুর চালায় তারা। পড়ুয়াদের উপরে লাঠিচার্জ করে। রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ‘‘তালা ভাঙা, কাঁদানে গ্যাসের শেল, জানলার কাঁচ ভাঙা, আসবাবপত্র ভাঙা, মেঝেতে রক্তের ফোঁটা— এ রকম আরও বেশ কিছু চিহ্ন মিলেছে, যা থেকে স্পষ্ট, সে দিন ঠিক কী ঘটেছে।’’ পিইউডিআর-এর ছয় সদস্যের একটি তদন্তকারী দল বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিল। তাঁরা একাধিক পড়ুয়া, শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। দেখা করেন জখম পড়ুয়া, তাঁদের মা-বাবা, চিকিৎসক, প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে। রিপোর্টের নাম দিয়েছেন, ‘ব্লাডি সানডে’। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার দিন ছাত্র ও শিক্ষকরা এক সঙ্গে সংসদ ভবন পর্যন্ত মিছিল করার পরিকল্পনা করেছিল। পুলিশ বাধা দেয়। কিন্তু পড়ুয়ারা ব্যারিকেড ভেঙে বেরোতে যায়। তখনই পুলিশ ছাত্রদের একেবারে সামনে থেকে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এর পর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে পড়ুয়াদের উপরে হামলা চালায় দিল্লি পুলিশ।

আরও পড়ুন: রাওয়তের পাশে, মুখ খুলে বার্তা প্রতিমন্ত্রী ভিকে সিংহের

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement