সিদ্দেকের বাড়িতে বিক্ষোভ

মন্ত্রীর বাড়িতে দাঁড়িয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিলেন অপ্রাদেশিকৃত শিক্ষকরা। স্কুলের প্রাদেশিকীকরণ ও চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে আজ অসমের শিল্প ও বাণিজ্য বিভাগের মন্ত্রী সিদ্দেক আহমেদের বাড়ি ঘেরাও করেন ‘অসম অপ্রাদেশিকৃত শিক্ষক সংস্থা’র কর্মচারীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:১২
Share:

মন্ত্রীর বাড়িতে দাঁড়িয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিলেন অপ্রাদেশিকৃত শিক্ষকরা।

Advertisement

স্কুলের প্রাদেশিকীকরণ ও চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে আজ অসমের শিল্প ও বাণিজ্য বিভাগের মন্ত্রী সিদ্দেক আহমেদের বাড়ি ঘেরাও করেন ‘অসম অপ্রাদেশিকৃত শিক্ষক সংস্থা’র কর্মচারীরা। জলসম্পদ বিভাগের পরিষদীয় সচিব কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের বাড়িতে ধর্নার পর আজ ছিল তাঁদের দ্বিতীয় আন্দোলন।

এ দিন সকালে সংস্থার সদস্যরা বারইগ্রামে মন্ত্রীর বাড়িতে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন। তাঁরা জানান, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা অপ্রাদেশিকৃত শিক্ষকদের স্থায়ী নিযুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য সরকার এখন সেই প্রতিশ্রুতিকে কোনও ভাবেই আমল দিচ্ছে না। প্রথম পর্যায়ে কয়েক জনের চাকরি স্থায়ী করা হলেও, এখন আর সে পথে হাঁটছে না সরকার। আর্থিক সঙ্কটের জেরে অনাহারে, অর্ধাহারে দিন কাটছে অপ্রাদেশিকৃত শিক্ষকদের। সরকারের এই আচরণের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে মন্ত্রী-বিধায়কদের বাড়ি ঘেরাও করার সিদ্ধান্ত নেয় ওই সংস্থা। করিমগঞ্জের সুভাষনগরে পরিষদীয় সচিব কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের বাড়ি ঘেরাওয়ের পর এ দিন বারইগ্রামে সিদ্দেকের বাড়ি ঘেরাও করেন তাঁরা। মন্ত্রীর সামনেই তাঁরা হুঁশিয়ারির সুরে জানান— আগামী নভেম্বরের মধ্যে চাকরি স্থায়ী করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে। এমনকী দু-এক জন শিক্ষক আত্মহত্যারও হুমকি দেন।

Advertisement

অন্য দিকে, অসমে বিজেপির ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা মহেন্দ্র সিংহের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন সিদ্দেক আহমেদ। করিমগঞ্জে আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘মহেন্দ্র সিংহের উস্কানিমূলক বক্তব্যের জেরেই বড়খলায় অশান্তি ছড়িয়েছে।’’ বিজেপির ওই কেন্দ্রীয় নেতা শিলচরে প্রকাশ্য জনসভায় জেলার পুলিশ সুপারকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উর্দি খুলে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সে কথা তুলে সিদ্দেক বলেন, ‘‘আমার কোনও উর্দি নেই। মহেন্দ্র সিংহের ক্ষমতা থাকলে আমার সঙ্গে লড়াই করুন।’’

মন্ত্রীর অভিযোগ, বরাকে অশান্তি ছড়ানোর পিছনে রয়েছে গেরুয়া সংগঠনগুলি। বিজেপি বরাকে দুই গোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে। গত কাল হাইলাকান্দিতে গিয়ে বড়খলা-কাণ্ডে নিহত চালক সাদিক আহমেদের বাড়িতে যান সিদ্দেক। এ নিয়ে পাল্টা সিদ্দেকের দিকে তোপ দেগেছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, মন্ত্রীর কাছে সব গোষ্ঠীর মানুষই সমান হওয়া উচিত।

বরাকের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে এ দিন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দেখা করেন করিমগঞ্জের বিজেপি নেত্রী শিপ্রা গুণ। দিল্লি থেকে তিনি ফোনে জানান, বরাক উপত্যকায় বিশেষ একটি গোষ্ঠী সংঘর্ষ ছড়ানোর চক্রান্ত করছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement