আন্দোলন চলছে কৃষকদের। ফাইল ছবি
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ট্র্যাক্টর র্যালি হবেই, আবারও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদরত কৃষকেরা। পাশপাশি কৃষকদের অভিযোগ, এনআইএ-কে দিয়ে এই আন্দোলনে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে না। কৃষক আন্দোলনের অংশীদার, স্বরাজ অভিযান দলের প্রধান যোগেন্দ্র যাদব আবার জানিয়েছেন, ২৬ জানুয়ারি লালকেল্লায় সরকারি প্যারেডে কোনওরকম বাধা সৃষ্টি করা হবে না, যা হওয়ার আলাদা করেই হবে। তবে দিল্লির ভিতরে ঢুকবে ট্র্যাক্টর র্যালি।
অন্য দিকে, দশম দফার বৈঠকের পরে কৃষকরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিষয়ে তাঁরা নিজেদের অবস্থান থেকে একচুলও সরছেন না। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী প্রস্তাব দিয়েছেন, আইন বাতিলের দাবি বাদ দিয়ে অন্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে। কিন্তু কৃষকরা সেই প্রস্তাব মানতে নারাজ।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, কৃষকরা জানিয়েছেন, তাঁরা ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন, যদি সরকার তাঁদের দাবি না মানে। ২০২৪ সালের জুন মাসে ভারতের পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে।
মধ্যপ্রদেশে রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর বলেন, ‘‘কৃষকরা একগুঁয়েমি করছেন। সরকার সমস্ত দাবি মেনে নেওয়া সত্ত্বেও তাঁরা আইন বাতিলের দাবিতে অনড় হয়ে বসে আছেন।’’ নাগপুরে একটি সাংবাদিক বৈঠকে কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত পাল্টা বলেছেন, ‘‘২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। চিন্তার ক্ষেত্রে এক বিপ্লব আনতে চায় এই আন্দোলন।’’ পাশাপাশি দাবি হিসাবে তিনি উল্লেখ করেছেন, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষযে আইনি নিশ্চয়তা-সহ তিনটি কৃষি আইন বাতিল করতে হবে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে টিকা নিয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ৫১ জনের, এক জন ভর্তি হাসপাতালে
আরও পড়ুন: আধুনিক নকশার ভিস্টাডোম কোচ ট্রেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী