বারাণসী ঘাটে যাওয়ার পথে মমতা
বিধানসভা নির্বাচনের আবহে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গার ঘাটে যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে কালো পতাকা দেখালেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁকে ঘিরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানও তোলা হয়। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীও স্লোগান তোলেন। ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান দিতে শোনা যায় তাঁকে। পাশাপাশিই, ‘মমতা জিন্দাবাাদ’ ধ্বনি তুলতে শুরু করেন অখিলেশ যাদবের দল সমাজবাদী পার্টি (সপা) র কর্মী-সমর্থকেরাও। সেই সময় বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘‘এই ভাবে আমায় দমিয়ে রাখা যাবে না।’’
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সপা-র প্রধান অখিলেশ বলেন, ‘‘বিজেপি-র অবস্থা খারাপ। কারণ, দিদি আর ভাই এক সঙ্গে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়ছে। বাংলায় লজ্জাজনক হারের ধাক্কা থেকে এখনও বেরোতে পারেনি বিজেপি। তাই, বারাণসীতে কালো পতাকা দেখাচ্ছে ওঁরা। কারণ, ওঁরা জানে, উত্তরপ্রদেশেও একই অবস্থা হতে চলেছে ওঁদের। এটা ওঁদের হতাশারই বহিঃপ্রকাশ।’’ প্রসঙ্গত, অখিলেশকে নিজের ‘ভাই’ বলেই পরিচয় দেন মমতা। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেই উত্তরপ্রদেশে লখনউয়ে গিয়ে অখিলেশের হয়ে প্রচার করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ওই প্রচারে অখিলেশকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করতে শোনা যায় তাঁকে। লখনউ-সফরেই ৩ মার্চ মোদীর লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারের কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা।
মমতাকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘বিজেপি-র মধ্যে এক ধরনের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং মহিলা মুখ্যমন্ত্রী এই দুই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মান পাওয়া উচিত। ওঁরা (বিজেপি) তো এ সবের ধার ধারে না। নারীবিদ্বেষী মনোভাব থেকে এই বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মানুষ এ সব লক্ষ্য রাখছেন।’’