অধ্যাপক সুমন্ত্র চট্টোপাধ্যায়।
২০২১-এর এফআরএএক্সএ রিসার্চ ফাউন্ডেশন গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার পেলেন অধ্যাপক সুমন্ত্র চট্টোপাধ্যায়। বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস-এ কর্মরত তিনি। ফ্র্যাজাইল এক্স রিসার্চ এবং ফ্র্যাজাইল এক্স কমিউনিটি গবেষণায় তাঁর নিরলস দায়বদ্ধতা এবং অবদানের জন্য তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
ফ্র্যাজাইল এক্স কমিউনিটি নিয়ে যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করছেন এবং এই বিষয়ে গবেষণা, সচেতনতামূলক কাজের নেতৃত্বে যাঁরা বিশ্বে দৃষ্টান্ত তৈরি করেন তাঁদেরই এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এফআরএএক্সএ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ বছরই প্রথম এই পুরস্কার দেওয়া হল। অটিজমে আক্রান্তদের মধ্যে ফ্রাজাইল এক্স সিনড্রোম দেখা যায়। বিশ্বে প্রতি চার হাজার বালকের মধ্যে একজনের এবং প্রতি আট হাজার বালিকার মধ্যে একজনের দেহে এই সিন্ড্রোম পাওয়া যায়। ফ্রাজাইল এক্স সিনড্রোম দেখা যায় যখন ক্রোমোজমের একটি জিন কাজ বন্ধ করে দেয়। ওই জিনের তৈরি একটি প্রোটিন মস্তিষ্ক বিকাশে কাজ করে। ফ্র্যাজাইল এক্স সিনড্রোমে সেই প্রোটিন সঠিক ভাবে তৈরি হয় না। ফলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয়।
পুরস্কার পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি সুমন্ত্র। তিনি বলেন, “এই পুরস্কার পেয়ে আমি খুবই সম্মানিত বোধ করছি। মনে করি ফ্র্যাজাইল এক্স গবেষণার থেকেও অনেক বড় বিষয়। এফআরএক্সএ আমার পরিবারের মতো। গবেষণাগারের ভিতরে এবং বাইরে তারা যে ভাবে আমাকে তারা সহযোগিতা করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞ।”
কানপুর আইআইটি থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর করেছেন সুমন্ত্র। এর পর জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাল্ক ইনস্টিটিউট থেকে স্নায়ুবিজ্ঞানে পিএইচডি করেন। এমআইটি এবং ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণা করার পর বেঙ্গালুরুতে ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস, টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চে নিজের গবেষণাগার চালু করেন সুমন্ত্র।