Crime

শাস্তি দিতে পড়ুয়াদের পোশাক খুলিয়ে মার শিক্ষকের! ঠান্ডায় দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগও

এই অভিযোগ উঠেছে মুম্বইয়ের একটি নামী কলেজের বিরুদ্ধে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার দাবি করেছেন পড়ুয়ারা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:১৮
Share:

অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। প্রতীকী ছবি।

পড়ুয়াদের অর্ধনগ্ন করে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে মুম্বইয়ের একটি নামী কলেজের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। ‘ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিম’ (এনএসএস)-এর শিবিরে কয়েক জন পড়ুয়ার উপর এমন নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ছাত্রদের জোর করে পোশাক খুলিয়ে ঠান্ডার মধ্যে দাঁড় করিয়েও রেখেছিলেন বলে অভিযোগ ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে।

Advertisement

এনএসএস-এর শিবিরের আয়োজন করেছিলেন মুম্বইয়ের ওই কলেজ কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ৭ দিনের ওই শিবির শুরু হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের দাহানু এলাকায় ওই শিবিরের আয়োজন করা হয়। তাতে অংশ নেন ৭০ জন পড়ুয়া। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কলেজের ২ শিক্ষিকা-সহ ৪ শিক্ষক।

পড়ুয়াদের অভিযোগ, ২৯ ডিসেম্বর শিবিরের প্রথম রাতেই এমন নির্যাতন চালানো হয়। শিবিরে একটি ঘরের মধ্যে কয়েক জন পড়ুয়া ছিলেন। তাঁরা নিজেদের মধ্যে গল্পগুজব করছিলেন। কেউ গান শুনছিলেন। মধ্যরাতে ওই পড়ুয়াদের ঘরে যান এক শিক্ষক। কেন পড়ুয়ারা এত রাত পর্যন্ত জেগে রয়েছেন, এ নিয়ে বকাবকি করেন ওই শিক্ষক। সে কারণে ‘শাস্তি’ দিতেই এর পরই ছাত্রদের মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ। লাথিও মারা হয় বলে অভিযোগ। ছোড়া হয় জুতো।

Advertisement

এর পরই পড়ুয়াদের পোশাক খুলতে বাধ্য করেন ওই শিক্ষক। অভিযোগ, এই নির্দেশ অমান্য করায় কয়েক জন পড়ুয়াকে মারধর করেন তিনি। ভয়ে কয়েক জন পড়ুয়া বাধ্য হয়ে পোশাক খোলেন। তাঁদের পরনে ছিল শুধু অন্তর্বাস। এই অবস্থায় ঠান্ডার মধ্যে তাঁদের দাঁড় করিয়ে রাখেন বলে অভিযোগ উঠেছে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। প্রায় ১২ জন পড়ুয়ার সঙ্গে এমন আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই তিক্ত অভিজ্ঞতার জেরে পরের দিনই শিবির থেকে চলে যান এক পড়ুয়া। সম্প্রতি এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে।

অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন পড়ুয়ারা। অভিযোগ পাওয়ার পরও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। কলেজের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘নিয়মকানুন মেনেই আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি অভিযুক্ত শিক্ষক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement