গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠনের তদন্ত রিপোর্টে অভিযোগ উঠেছিল, আদানি গোষ্ঠী ইন্দোনেশিয়া থেকে নিম্ন মানের, কম দামের কয়লা আমদানি করে তা উন্নত মানের দূষণমুক্ত কয়লা বলে দাবি করে অনেক বেশি দামে তামিলনাড়ু সরকারের বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থাকে বিক্রি করেছে। তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার এ বার সেই অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিল। সূত্রের খবর, তামিলনাড়ুর ভিজিল্যান্স ও দুর্নীতি দমন শাখা এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। কারণ, এতে আদানি গোষ্ঠীর কোটি কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে। সরকারি কোষাগারের লোকসান হয়েছে। কিন্তু সেই বিদ্যুতের জন্য আমজনতাকে চড়া মাসুল গুণতে হয়েছে। পরিবেশ দূষণের খেসারতও সাধারণ মানুষকেই দিতে হয়েছে।
কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, আদানি গোষ্ঠী এই প্রতারণা করে ৩ হাজার কোটি টাকা পকেটে পুরেছে। সরকারি সূত্রের খবর, এ বিষয়ে তামিলনাড়ুর এম কে স্ট্যালিনের সরকার ছাড়পত্র দেওয়ার পরে দুর্নীতি দমন আইনে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার এই দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ জমা পড়েছে। এর আগেও এই বিষয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল। কিন্তু সে সময় কোনও তদন্ত হয়নি।