ফাইল ছবি
মথুরায় কিসান মহাপঞ্চায়েতে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা যে তিন কৃষি আইন নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করবেন, তা প্রত্যাশিতই ছিল। মঙ্গলবার মথুরার কিসান মহাপঞ্চায়েত থেকে প্রিয়ঙ্কা ব্রজভূমিতে প্রশ্ন তুললেন গোশালার দুর্দশা নিয়েও। গোশালার গরুরা খাবার পাচ্ছে না বলে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের দিকে আঙুল তুললেন তিনি। বৃন্দাবনের বাঁকেবিহারী মন্দিরে পুজো দিলেন। সেই সঙ্গে মথুরার নাগরিকদের ‘সাবধান’ করে বললেন, ‘‘গোবর্ধন পর্বত সামলে রাখবেন। কাল হয়তো সরকার একেও বেচে দেওয়ার চেষ্টা করবে!’’
কৃষি আইনের বিরুদ্ধে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জাঠ বলয়ে একের পর এক কিসান মহাপঞ্চায়েতে যোগ দিয়ে প্রিয়ঙ্কা এ দিন ফের বুঝিয়েছেন, তাঁর পাখির চোখ ২০২২-এর উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোট। কিন্তু তিনি নিজে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন কি না, সে প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। এআইসিসি-তে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, ‘‘আমার দায়িত্ব মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তাঁদের হয়ে আওয়াজ তোলা।’’
প্রথমে রাষ্ট্রীয় লোক দলের অজিত সিংহ-জয়ন্ত চৌধরি, এ বার প্রিয়ঙ্কার নেতৃত্বে কংগ্রেস—বিরোধীরা জাঠ বলয়ে কৃষকদের ক্ষোভ উস্কে দিতে নেমে পড়েছে দেখে বিজেপিও ফের জাঠদের খাপ পঞ্চায়েতগুলির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছিল। সোমবার মুজফ্ফরনগরের বিজেপি সাংসদ সঞ্জীব বালিয়ান নিহত কৃষকদের শোকসভায় গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন। তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতাহাতিও হয়। বালিয়ান একে আরএলডি-র সমর্থকদের বিক্ষোভ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আরএলডি প্রধান অজিত সিংহের প্রশ্ন, ‘মুর্দাবাদ’ স্লোগান দিলে মারধর করা হবে কেন!
আজ মথুরায় প্রিয়ঙ্কায় মহাপঞ্চায়েতেও শোরগোল হয়েছে। প্রিয়ঙ্কার বক্তৃতার মধ্যেই এক মহিলা চেঁচিয়ে অভিযোগ তোলেন, তাঁর মেয়েকে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ লাগোয়া রাজস্থানের ভরতপুরে ধর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি বিচার পাচ্ছেন না। প্রিয়ঙ্কা সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চ থেকে নেমে, ফাঁকা জায়গায় গিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলেন। তার পর রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতকে ফোন করে কথা বলেন। গহলৌত উপযুক্ত ব্যবস্থার আশ্বাস দেন।
কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘মথুরার মাটি অহঙ্কার চুরমার করার মাটি। অহঙ্কারে উন্মত্ত বিজেপি সরকার অনিচ্ছুক কৃষকদের উপরে কৃষি আইন চাপিয়ে দিচ্ছে। ভগবান কৃষ্ণই এদের অহঙ্কার ভাঙবে।’’