পাশে: উত্তরপ্রদেশের আজ়মগড়ে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। বুধবার। ছবি: পিটিআই।
সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের লোকসভা কেন্দ্র আজ়মগড়ে পৌঁছে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। তাঁর এই সফর এই দু’দলের সম্পর্কের টানাপড়েনকে আরও উস্কে দিয়েছে। আজ়মগড়ে পৌঁছে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেই আক্রমণ করেছেন প্রিয়ঙ্কা।
সম্প্রতি আজ়মগড়ের বিলারিয়াগঞ্জে সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভের উপর লাঠি চালায় পুলিশ, কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। আহত হন কয়েকজন মহিলা বিক্ষোভকারী। পুলিশের বিরুদ্ধে পাথর ছোড়ারও অভিযোগ ওঠে। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই যোগী সরকারকে নোটিস পাঠিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ২০ জনকে।
আজ আহতদের সঙ্গে দেখা করার পর প্রিয়ঙ্কা নিশানা করেন মোদী সরকারকে। একটি পথসভায় বলেন, ‘‘দিল্লি আর লখনউয়ের সরকার শুধু গরিব-বিরোধীই নয়, সংবিধানকে ধ্বংস করতে এরা কাজ করে যাচ্ছে। সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। কারণ, যে আইনগুলি এরা আনছে, তা একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে নিশানা করেই শুধু নয়, পুরোটাই সংবিধান বিরোধী।’’ কংগ্রেস নেত্রীর কথায়, ‘‘উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার বলছে, সংরক্ষণ সাংবিধানিক অধিকার নয়। সংবিধানকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে তারা।’’ আজ়মগড়ে পৌঁছনোর আগে প্রিয়ঙ্কা টুইট করেন, ‘‘গণতন্ত্রে প্রতিবাদ করা অপরাধ নয়। অত্যাচারিতদের পাশে দাঁড়ানো আমার কর্তব্য।’’
আরও পড়ুন: চুক্তি হলেই এনআরসি তথ্য ওয়েবসাইটে ফেরাবে উইপ্রো
তবে অখিলেশের কেন্দ্রে প্রিয়ঙ্কার এই সফর ঘিরে দু’দলের চাপানউতোর বেড়েছে। আজ়মগড়ে সম্প্রতি অখিলেশের ‘নিখোঁজ’ হওয়ার পোস্টার পড়েছে। সমাজবাদী পার্টি নেতাদের অভিযোগ, এর পিছনে রয়েছে কংগ্রেস। তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। আর সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশি হামলা হলেও অখিলেশ নীরব কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। সমাজবাদী পার্টির নেতারা অবশ্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন, অখিলেশ ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে পুলিশের সমালোচনা করেছেন। গোটা বিষয়টির খোঁজ নিতে তদন্ত কমিটিও গড়েছেন। তার পরেও কংগ্রেস অখিলেশকে নিশানা করছে কেন, সে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।