নিয়ম ভেঙেছেন প্রিয়ঙ্কাই, বলছে সিআরপিএফ

নিরাপত্তাকর্মীদের বারণ না শুনে জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কাই। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৪৭
Share:

ছবি: পিটিআই।

প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলা দেওয়া, ঘাড় ধরে টেনে তোলার মতো গুরুতর শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে। সিআরপিএফের জেড প্লাস নিরাপত্তা পাওয়া কোনও ব্যক্তির নিরাপত্তাব্যবস্থা কেন এত ঠুনকো হবে, প্রশ্ন তুলে সরব হয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, গত ২৮ ডিসেম্বর প্রিয়ঙ্কার নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক ছিল না। উল্টে কেন্দ্রের অভিযোগ, কংগ্রেস নেত্রীই তথ্য গোপন করে নির্ধারিত সূচি বদলিয়ে অন্য স্থানে যান। হেলমেট ছাড়াই স্কুটির পিছনে চড়েছিলেন তিনি। নিরাপত্তাকর্মীদের বারণ না শুনে জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কাই।

Advertisement

উত্তরে প্রিয়ঙ্কা এদিন জানান, তাঁর নিরাপত্তার চেয়েও অনেক বেশি দুশ্চিন্তার কথা হল, উত্তরপ্রদেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যোগী আদিত্যনাথের শাসনে উত্তরপ্রদেশে মহিলারা যে নিরাপদ নন তা সকলেই দেখতে পাচ্ছেন।

বিতর্কের সূত্রপাত গত শনিবার। সে দিন গ্রেফতার হওয়া অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস এস আর দানাপুরীর বাড়িতে যাওয়ার সময়ে প্রিয়ঙ্কাকে আটকায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তাঁকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রিয়ঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢরা টুইট করে বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক মহিলাকর্মী প্রিয়ঙ্কার গলা টিপে ধরেছিলেন। অন্য জন তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন।’’ সিআরপিএফের জেড প্লাস নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে প্রিয়ঙ্কা নিগ্রহের শিকার হলেন? কংগ্রেসের তরফে প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয় সিআরপিএফ কর্তৃপক্ষকে।

Advertisement

আরও পড়ুন: গুলিচালনায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআরে নারাজ যোগী

সিআরপিএফ আজ দাবি করেছে, প্রিয়ঙ্কার লখনউ সফরের বিষয়টি তাদের ২৭ ডিসেম্বর জানানো হয়েছিল। তাতে কেবল লখনউয়ের প্রদেশ কংগ্রেস দফতর যাওয়ার কথা লেখা ছিল। সেই মতো প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছিল রাজ্য প্রশাসনকে। সিআরপিএফের অভিযোগ, শনিবার সকাল আটটা নাগাদ হজরতগঞ্জ থানার সার্কল অফিসার অভয় মিশ্র প্রিয়ঙ্কার বিস্তারিত সফর পরিকল্পনা জানতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে কিছু জানাতে অস্বীকার করেন প্রিয়ঙ্কার ব্যক্তিগত সহকারী।

সিআরপিএফ বরং উল্টে কংগ্রেস নেত্রীর বিরুদ্ধেই তিনটি অভিযোগ তুলেছে। আগেভাগে তথ্য না জানানো, বুলেট প্রুফ গাড়ির বদলে সাধারণ গাড়িতে চড়া এবং স্কুটারের পিছনে বসে হেলমেটহীন সফর। সিআরপিএফের বক্তব্য, এ ভাবে চলাফেরা করায় প্রিয়ঙ্কার জীবনসংশয় হতে পারত। আগামী দিনে প্রিয়ঙ্কাকে তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করেছে সিআরপিএফ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement