ছবি: সংগৃহীত।
অন্য বিরোধী দল সঙ্গে না এলেও হাল ছাড়ছে না কংগ্রেস। দলকে চাঙ্গা করতে মানুষের মনে দাগ কাটার দাওয়াই দিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। তাঁর নির্দেশ, কংগ্রেস যে বিষয় নিয়েই আন্দোলন করুক, সেটি যেন সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে। স্লোগানও দিতে হবে সহজ ভাষায়। সে স্লোগান যেন জোরালো হয় এবং মানুষের মনে ধরে।
দশ জনপথে সনিয়া গাঁধীর বাড়িতে দলের বৈঠকে বাকি সব নেতার সামনে দলের আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সম্প্রতি এ সব বলেন প্রিয়ঙ্কা। বিদেশে থাকায় রাহুল গাঁধী ছিলেন না ওই বৈঠকে। গত লোকসভা নির্বাচনের সময় রাহুল যে ভাবে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রচার করতেন, তা আমজনতার মনে দাগ কাটেনি বলে দলের অনেকে মনে করেন। ভোট পেরিয়ে গেলেও রাহুল এখনও সুযোগ পেলেই রাফাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দাগেন। এমন এক পরিস্থিতিতে প্রিয়ঙ্কা সরাসরি না বললেও দলের অনেকে বোঝার চেষ্টা করছেন, এটি কি ভোটের আগে রাহুলের কৌশলের পরোক্ষ সমালোচনা?
গাঁধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত পঙ্কজ শঙ্কর সম্প্রতি প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন, গত ১৫ বছর ধরে রাহুল গাঁধীকে কাজের সুযোগ দেওয়া হলেও একের পর এক ক্ষেত্রে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু সনিয়া গাঁধীর ‘পুত্রমোহ’র জন্যই এখনও সুযোগ পাচ্ছেন রাহুল। অথচ ঢের বেশি যোগ্যতা রয়েছে প্রিয়ঙ্কার। কিন্তু সনিয়ার ‘পুত্রমোহ’র পাশাপাশি সভানেত্রী পদে প্রিয়ঙ্কাকে বসাতে বাদ সাধছেন রাহুলও, এমনটাই অভিযোগ পঙ্কজের। যদিও কংগ্রেস আনুষ্ঠানিক ভাবে বলেছে, প্রিয়ঙ্কা বা সনিয়ার দফতরের সঙ্গে পঙ্কজের কোনও যোগাযোগ নেই। কিন্তু সনিয়ার ‘পুত্রমোহ’ আছে কি না কিংবা প্রিয়ঙ্কাকে সভানেত্রী করতে রাহুল বাধা দিচ্ছেন কি না, সে বিষয়ে কোনও কথা শোনা যায়নি।
আরও পড়ুন: জঙ্গি হানার আশঙ্কা, সতর্কতা অযোধ্যায়
দলের এক নেতা আজ বলেন, ‘‘সনিয়া ফের রাহুলকে সভাপতি করার ঘুঁটি সাজাচ্ছেন। আগামী দু’মাসের মধ্যে সভাপতি পদে রাহুলকে বসানোর চেষ্টা করবেন। রাহুলের সভাপতি পদে বসতেও আপত্তি নেই। কিন্তু তাঁর কিছু শর্ত আছে। এরই মধ্যে পঙ্কজ শঙ্করের সাক্ষাৎকার রাহুলের ব্যর্থতাকে সামনে আনার পাশাপাশি পরিবারের অন্দরের বিবাদকেও উস্কে দিয়েছে। একে কাজে লাগিয়ে অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়ার উপর চাপ বাড়ানোর সুযোগও পাবেন প্রবীণ নেতারা। ফলে আগামী দিনে জল কোনদিকে গড়ায়, সেটি দেখার।’’