প্রিয়ঙ্কার টুইট করা সেই ছবি।
ইন্দিরা গাঁধী নন, রাজীব বা সনিয়াও নন। প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে সর্বপ্রথম ‘নেলসন আঙ্কল’ বলেছিলেন যে তাঁর রাজনীতিতে আসা উচিত। আজ নেলসন ম্যান্ডেলার জন্মবার্ষিকীতে এ কথা জানিয়ে টুইট করেছেন প্রিয়ঙ্কা। সঙ্গে দিয়েছেন নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে তাঁর ২০০১ সালের একটি ছবি। ছবিতে সহাস্য ম্যান্ডেলার কোলে প্রিয়ঙ্কার ছেলে। প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছেন, ছেলের মাথার রংচঙে টুপি দেখেই ম্যান্ডেলা হাসছিলেন। প্রিয়ঙ্কার বক্তব্য, ‘‘আমার কাছে উনি ছিলেন আঙ্কল নেলসন। যিনি অন্য কেউ বলার অনেক আগেই আমাকে বলেছিলেন, আমার রাজনীতিতে আসা উচিত। উনি সবসময় আমার অনুপ্রেরণা। আমার ‘গাইড’।’’
বহু বছর জল্পনার পরে লোকসভা ভোটের আগে জানুয়ারি মাসে প্রিয়ঙ্কা সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন। তাঁকে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন রাহুল গাঁধী। কিন্তু লোকসভা ভোটের পরে কংগ্রেসের খারাপ ফলের জন্য রাহুলই আর কংগ্রেস সভাপতি থাকবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। অতীতে কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের একটা বড় অংশ প্রিয়ঙ্কাকে সক্রিয় রাজনীতিতে আনার দাবিতে সরব ছিলেন। তাঁরা প্রিয়ঙ্কার মধ্যে ঠাকুমা ইন্দিরার ছায়া দেখতে পেতেন। এখন রাহুল সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোয় দলের একাংশ ফের দাবি তুলেছে, প্রিয়ঙ্কা রাশ ধরুন। রাহুল নিজেই অবশ্য কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিতে বলে দিয়েছিলেন, প্রিয়ঙ্কাকে যেন সভাপতি না করা হয়।
প্রিয়ঙ্কা আজ যখন নিজেই জানিয়েছেন, প্রবাদপ্রতিম রাষ্ট্রনেতা ম্যান্ডেলা তাঁর রাজনীতিতে আসা উচিত বলে মত দিয়েছিলেন, তখন অবশ্য রাহুলের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। অন্যান্য দিন লোকসভায় এলেও আজ সংসদে দেখা যায়নি রাহুলকে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।