ফাইল চিত্র।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলেও প্রত্যাশিত ফল করতে পারেনি বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে সক্রিয় হয়ে উঠছে রাজ্যের বিরোধী শিবির।
অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি (এসপি) পঞ্চায়েত ভোটে ভাল ফল করার সুবাদে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে রাজ্যের বিরোধী রাজনীতিতে। কংগ্রেস বা বিএসপির সঙ্গে তারা জোট না-গড়ে একাই জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা রাজ্যের করোনা মোকাবিলার পরিস্থিতি নিয়ে সরব। আজ তিনি চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে। উনিশের লোকসভা ভোটের পর থেকে মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। রাজনৈতিক সূত্রের মতে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চাপে মোদী অথবা যোগী বিরোধিতার লাইন থেকে সরে আসতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু ভোট ক্রমশ এগিয়ে আসায়, তাঁকেও মুখ খুলতে দেখা যাচ্ছে।
যোগীকে লেখা চিঠিতে প্রিয়ঙ্কার দাবি, করোনার চিকিৎসা হচ্ছে যে সব বেসরকারি হাসপাতালে, সেখানকার চিকিৎসার খরচ নিয়্ন্ত্রণ করুক রাজ্য সরকার। তিনি লিখছেন, “সরকারি ক্ষেত্রের পাশাপাশি বেসরকারি হাতপাতালগুলিও কোভিড মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে। কিন্তু অনেক অভিযোগও শোনা যাচ্ছে। হাসপাতালের খরচ মেটাতে মানুষ ধারদেনা করতে বাধ্য হচ্ছেন।” তাঁর পরামর্শ, রাজ্য সরকারের উচিত খরচের একটা কাঠামো তৈরি করে দেওয়া। যাতে রোগীদের মারাত্মক খরচ না পড়ে। এই অতিমারির সময় চিকিৎসাধীন বাবা-মায়েদের সন্তানদের বেতন দেওয়ার জন্য স্কুলগুলি যাতে চাপ না-দেয়, তার জন্য পদক্ষেপ করতেও মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন প্রিয়ঙ্কা। এই ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
দীর্ঘদিন পর বিএসপি নেত্রী মায়াবতীকে আজ যোগী সরকারের সরাসরি সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে। তিনি বলেছেন, “উত্তরপ্রদেশে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী এবং পঞ্চায়েত ভোটে কাজ করা সরকারি শিক্ষকদের অসুস্থ হয়ে পড়ার যে খবর আসছে, তাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না রাজ্য সরকার।” তাঁর বক্তব্য, “এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, সরকার করোনা যোদ্ধাদের অনেকের অসুস্থতার বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে না। বিশেষ করে ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা সংক্রামিত হচ্ছেন। অনেকে মারাও যাচ্ছেন। এঁদের নিরাপত্তার দিকটি অবিলম্বে দেখা উচিত।”