সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, চিকিৎসকদের কোনও জঙ্গি সংগঠন হুমকি দিচ্ছে না, যে সরকার তার ব্যবস্থা করবে। প্রতীকী ছবি।
বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। চিকিৎসকদের কিছু কিছু পরিস্থিতিতে রোগীদের আত্মীয়দের হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে এবং তাঁরা নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন জানিয়ে আদালতে গিয়েছিল দিল্লি মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। দেশের শীর্ষ আদালত তাদের জানিয়ে দিল, বেসরকারি হাসপাতাল আদতে একটি বাণিজ্যিক সংস্থা। তাই এ ক্ষেত্রে যেমন আদালতের নাক গলানো সাজে না, তেমনই আদালত সরকারকেও এই দায়িত্ব নিতে বলতে পারে না। একইসঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থা থাকে। অর্থাৎ আদালত বলতে চেয়েছে, সরকার তার দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করছে। তাই বেসরকারি হাসপাতালগুলিরও নিজেদের চিকিৎসকদের স্বার্থ দেখা উচিত এবং তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়া উচিত।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এস কে কওল এবং বিচারপতি এ এস ওকার বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল। মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন আদালতকে বলেছিল, করোনা অতিমারির সময় কখনও অক্সিজেনের অপ্রতুলতার জন্য কখনও হাসপাতালের শয্যার অভাবে রোগীদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা দিতে পারেনি বেসরকারি হাসপাতালগুলি। সে সময় দেখা গিয়েছে ক্ষিপ্ত রোগীর আত্মীয়রা বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের উপরেই চড়াও হচ্ছেন। অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আইনজীবী স্নেহা কালিটা বলেন, এই ধরনের ঘটনার আশঙ্কায় বেসরকারি হাসপাতালগুলির চিকিৎসকেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। জবাবে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ প্রবীণ আইনজীবী বিজয় হাঁসরিয়াকে বলে, ‘‘এই ঘটনাগুলি এক একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তা ছাড়া চিকিৎসকদের কোনও জঙ্গি সংগঠন হামলা করার হুমকি দেয়নি যে আদালত সরকারকে তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতে বলবে।’’
স্বাস্থ্য ব্যবসায় বেসরকারি হাসপাতালগুলি আদতে এক একটি বাণিজ্যিক সংস্থা বলে উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট বলে দেয়, ‘আমরা সরকারকে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে বলতে ইচ্ছুক নই। তা ছাড়া আমরা এই ধরনের জনস্বার্থ মামলাও শুনতে রাজি নই, যাতে মূলগত সমস্যা রয়েছে।’’