বিদ্রুপ সহ্য করে হাতে হাত রাখলেন এই সদ্য!
এরই মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে গেল ললিত মোদী আর সুস্মিতা সেনের? মঙ্গলবার সকালে হইহই কাণ্ড! টুইটারে পরস্পরকে ‘আনফলো’ করে দিয়েছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, এর আগে সুস্মিতার সঙ্গে নিজের ছবি সরিয়ে অন্য প্রোফাইল পিকচার আপলোড করেছেন প্রাক্তন আইপিএল কর্তা। টুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম বায়ো থেকে মুছে দিয়েছেন প্রেয়সীর নাম। এতেই কানাঘুষো শুরু। ১৪ জুলাই প্রেমের সম্পর্কের কথা জাহির করে যাঁরা এত ব্যঙ্গবিদ্রুপ সহ্য করলেন, তাঁরাই শেষে টিকতে পারলেন না? যদিও ললিত বা সুস্মিতা কেউই এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি।
দু’মাস আগেই সুস্মিতা ও ললিতের সম্পর্ক ছিল চর্চার কেন্দ্রে। ৫৮ বছর বয়সি ললিত মোদীর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তখন ৪৬ বছরের ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরীর ছবি। একসঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ছবি তুলে নেটমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন ললিত। ছবির নীচে লিখে জানিয়েও দিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই সুস্মিতা তাঁর ‘বেটার হাফ’ হতে চলেছেন। বদলেছিলেন ইনস্টাগ্রামের ডিপি। সেখানে সুস্মিতা ছিলেন তাঁর পাশে। ইনস্টাগ্রামের যে জায়গায় নিজের সম্পর্কে দু’এক কথা লেখা যায়, সেই বায়ো সেকশনেও জ্বলজ্বল করছিল অভিনেত্রীর নাম। কিন্তু এখন কোথায় সেই ডিপি? কোথায়ই বা বায়ো সেকশনে সুস্মিতার নাম? সবই বদলে গিয়েছে। এখন ডিপিতে ললিত একা। বায়োতেও নিজের পরিচয় বদলে এখন জ্বলজ্বল করছে আইপিএল-এর ‘ফাউন্ডার’।
এ দিকে সুস্মিতা সেনেরও সঙ্গী এখন রোহমান শল। পুরনো প্রেমিকের সঙ্গেই বেশির ভাগ সময় কাটাতে দেখা যাচ্ছে সুস্মিতাকে। কখনও তাঁরা একসঙ্গে ধরা পড়ছেন পাপারাৎজির ক্যামেরায়, কখনও বা অভিনেত্রীর করা লাইভে। অভিনেতার মায়ের জন্মদিন উপলক্ষে পারিবারিক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সুস্মিতা। সেই দিন নিজের অনুরাগীদের সঙ্গে অভিনেত্রী তাঁর মায়ের পরিচয় করে দিচ্ছিলেন লাইভের মাধ্যমে।
সেই অনুষ্ঠানেও ললিত ছিলেন না। অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রোহমান শল। লাইভে দেখা যায়, সুস্মিতার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে গল্পে মশগুল রোহমান।
শুধু মায়ের জন্মদিনেই নয়, মুম্বইয়ের একটি ঘর সাজানোর দোকানের বাইরেও দেখা গিয়েছে সুস্মিতা ও রোহমানকে। পাপারাৎজির ক্যামেরায় ধরা পড়লে দু’জনে একসঙ্গে পোজও দেন।
তবে কি, ললিতের সঙ্গে সম্পর্কে ভাঙন ধরল সুস্মিতার? আবার কি তিনি তিন বছরের পুরনো সম্পর্কে ফিরে গেলেন? না কি সুস্মিতা ও রোহমান দু’জনেই তাঁদের দু’জনকে দেওয়া কথা রাখছেন? বিচ্ছেদের সময় দু’জনেই বলেছিলেন, তাঁদের বন্ধুত্বে কখনও ছেদ পড়বে না। তবে কি দু’জনে এখন শুধুই বন্ধু?
তা হলে সুস্মিতাতে মজে থাকা আইপিএল কর্তা এই সময়েই কেন নেটমাধ্যমে নিজের ভোলবদল করে ফেললেন? নেটমাধ্যমেই সুস্মিতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন ললিত। তবে কি নেটমাধ্যমে এই আচমকা ভোলবদল অভিনেত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের ইঙ্গিত? প্রসঙ্গত, আনফলো করে দিলেও সুস্মিতার সম্পর্কে নানা খবরের লিঙ্ক যা তিনি টুইটারে ভাগ করে নিতেন, সেগুলি রয়েছে এখনও। কোনও খবরই মুছে ফেলেননি। এমনকি, সুস্মিতাকে প্রশংসা করে যে টুইট করেছিলেন, তা এখনও রয়েছে ললিতের টুইটারে।