রবিশঙ্কর প্রসাদ।- ফাইল চিত্র।
গোপনতার অধিকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া ঐতিহাসিক রায়কে স্বাগত জানাল কেন্দ্র। আবার কিছুটা ‘কিন্তু কিন্তু’ও রয়ে গেল কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ায়।
শীর্ষ আদালতের রায়ের পর আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বললেন, গোপনতার অধিকার মৌলিক অধিকার ঠিকই, তবে গোপনতার অবাধ অধিকার সব সময় সম্ভব নয়। কখনও কখনও সেই অধিকার খর্ব করার ‘যুক্তিসঙ্গত কারণ’ থাকে।
গোপনতার অধিকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া ঐতিহাসিক রায়ে কিন্তু দৃশ্যতই পিছু হঠতে হয়েছে কেন্দ্রকে। কারণ, শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রের তরফে সওয়ালে বলা হয়েছিল, গোপনতার অধিকারকে ভারতীয় সংবিধানে অবিচ্ছেদ্য, অবাধ মৌলিক অধিকারের মান্যতা দেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের ৯ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ অবশ্য বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের সেই বক্তব্যকে মেনে নেয়নি।
আরও পড়ুন- ফের ঐতিহাসিক রায়: ব্যক্তিগত গোপনতা এখন মৌলিক অধিকার
আরও পড়ুন- এই রায় ভাল, তবে কোনও মৌলিক অধিকারই অনিয়ন্ত্রিত হতে পারে না
যদিও সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কেন্দ্রকে কিছুটা পিছু হঠতে হয়েছে, এই অভিযোগ মানতে চাননি আইনমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আদালতের ৯ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠিত হওয়ার অনেক আগেই সংসদে আধার বিল পেশ করার সময় কেন্দ্রের তরফে এটা স্পষ্টই বলা হয়েছিল যে, সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গোপনতার অধিকার মৌলিক অধিকার ঠিকই, তবে তা অবিচ্ছেদ্য, অবাধ মৌলিক অধিকার নয়।’’
এর পর সংসদে আধার বিল পেশ করার সময় তদানীন্তন আইনমন্ত্রী অরুণ জেটলি যা বলেছিলেন, সেটাও উদ্ধৃত করেন প্রসাদ।
আরও পড়ুন- ভারতে আসা চিনা নাগরিকদের ফের সতর্ক করল বেজিং
এ দিনের ঐতিহাসিক রায়ের পর শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রের সওয়াল নিয়ে যে ভাবে সমালোচনায় সরব হয় কংগ্রেস, তার জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘‘কংগ্রেসের লোকজন আমাদের আক্রমণ করছেন। বামপন্থীরাও ওঁদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। আমি জানতে চাইছি, কংগ্রেস জমানায় ব্যক্তিস্বাধীনতা রক্ষায় কী কী পদক্ষেপ হয়েছিল? বরং প্রধানমন্ত্রী মোদীর সরকারে এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা জরুরি অবস্থার সময় লড়াই করেছিলেন ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে।’’
রায়কে স্বাগত জানিয়ে বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী বলেছেন, ‘‘নাগরিকদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করার প্রচেষ্টার ওপর এটা বড় আঘাত।’’