বিশ্ব জুড়ে খাদ্য, সার এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তার প্রসঙ্গে জি৭ বৈঠকে আমন্ত্রিত রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল ছবি।
বিশ্ব জুড়ে খাদ্য, সার এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তার প্রসঙ্গে জি৭ বৈঠকে আমন্ত্রিত রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে জি৭ ভুক্ত দুই রাষ্ট্র জাপান এবং ফ্রান্সের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সমন্বয়ের পাশাপাশি উন্নয়নশীল এবং দরিদ্র রাষ্ট্রের (গ্লোবাল সাউথ) স্বরও তুলে ধরলেন হিরোশিমায়।
দীর্ঘ বিরতির পর বিদেশ সফরে জাপানে এসে আজ একের পর এক দৌত্য করেছেন মোদী। জি৭ গোষ্ঠীর নেতাদের সামনে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলি তুলে ধরে কিছু পরামর্শ দিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। মোদীর কথায়, “আন্তর্জাতিক খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে আমার কিছু পরামর্শ এই মঞ্চে দেওয়ার আছে। আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত, সবার কথা মাথায় রেখে এমন এক খাদ্য ব্যবস্থা তৈরি করা, যার কেন্দ্রে থাকবেন বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র মানুষ, বিশেষ করে প্রান্তিক কৃষকরা।” মোদীর কথায়, “আন্তর্জাতিক সার বণ্টন ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এ ব্যাপারে কোনও রাজনৈতিক বাধা এলে অবশ্যই তাকে সরিয়ে দিতে হবে।” এর পর কোনও দেশের নাম না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সারের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থকেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মানসিকতা বর্জন করতে হবে। সহযোগিতার অর্থ এটাই হওয়া উচিত।” জি২০ এবং জি৭-এর মধ্যে সংযোগের গুরুত্ব প্রসঙ্গেও আজ সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তাঁর উদ্বোধনী বক্তৃতায়।
আজ সকালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠকও সেরেছেন মোদী। মার্চে ভারত সফরে এসেছিলেন কিশিদা। মাত্র দু’মাসের ব্যবধানেই ফের তাঁদের বৈঠক হল। জাপানের সঙ্গে আলোচনাতেও মোদী অনুন্নত দেশগুলির অগ্রাধিকার এবং স্বার্থের প্রসঙ্গ তুলেছেন। পূর্ব লাদাখে চিনের আগ্রাসন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মতো বিষয়গুলি নিয়ে মত বিনিময় করেছেন। চিন প্রসঙ্গে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরে ভারত-জাপান সহযোগিতা আরও গভীর করা নিয়ে কথা হয়েছে। আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে সন্ত্রাসবাদ দমন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিক্ষেত্রে সহযোগিতা, ডিজিটাল পরিকাঠামো, রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্কারের কথাও।
জি৭ ভুক্ত আর এক দেশ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ-র সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের কৌশলগত সম্পর্ক ঝালিয়ে নিয়েছেন মোদী। বাণিজ্য ও অর্থনীতি, বিমান চলাচল, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র, অসামরিক পরমাণু ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে সক্রিয় সমন্বয় চলছে। আরও কিছু নতুন ক্ষেত্রে নিজেদের অংশীদারি বাড়ানোর কথা হয়েছে মোদী আর মাকঁর-র।