Narendra Modi

Narendra Modi: নিরাপত্তা বাহিনীতে শারীরিক প্রশিক্ষণ যথেষ্ট নয়, প্রযুক্তিও নিরাপত্তার অঙ্গ: মোদী

নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও বেশি প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২২ ০৫:০৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও বেশি প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘এখন নিরাপত্তা বাহিনীতে থাকার জন্য শারীরিক প্রশিক্ষণই যথেষ্ট নয়। প্রযুক্তিও এখন নিরাপত্তা ব্যবস্থার অন্যতম অঙ্গ হয়ে উঠেছে।’’

Advertisement

বছরের শেষে গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে চার রাজ্যে জয় পেতেই গুজরাতে জয়ে নেমে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাঁচ রাজ্যে ফল বেরোতেই যে ভাবে গুজরাতে গত কাল ও আজ সময় কাটালেন প্রধানমন্ত্রী তা থেকে স্পষ্ট আগামী দিনে তাঁর ও তাঁর দলের পাখির চোখ হতে চলেছে গুজরাতে জয় নিশ্চিত করা। বিশেষ করে পাঁচ বছর আগে গুজরাতের গ্রামীণ এলাকায় কংগ্রেস অপ্রত্যাশিত ভাবে ভাল ফল করায় এ বার কোনও ঝুঁকি নিতে চান না প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের মতে, গত কাল দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বিশেষত গ্রামীণ এলাকায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুফল যাতে প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছয় তা দলীয় কর্মীদের নিশ্চিত করার উপরে জোর দিয়েছেন তিনি।

গত কাল আমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে গান্ধীনগরে থাকা দলীয় কার্যালয়ে শোভাযাত্রা করে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ সফরের দ্বিতীয় দিনেও রাজভবন থেকে সর্দার বল্লভভাই পটেল স্টেডিয়াম পর্যন্ত শোভাযাত্রা করে যান মোদী। গত কালের মতোই আজও আমদাবাদের রাস্তায় ভিড় ছিল দেখার মতো। ওই জনসভার আগে গান্ধীনগরে রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধনে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘বর্তমানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ক্ষেত্রটি ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে। বিশেষত বেসরকারি নিরাপত্তা ক্ষেত্রটি ক্রমশ বাড়ছে। দেশ জুড়ে অনেক স্টার্ট আপ তৈরি হয়েছে। আমাদের লক্ষ্যই হল ওই ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত করা।’’ একই সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রশ্নে বিশেষ ভাবে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘প্রযুক্তি এখন নিরাপত্তা ব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছে। তাই নিরাপত্তা বাহিনীতে থাকার জন্য আজ আর শারীরিক প্রশিক্ষণই যথেষ্ট নয়। বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিরাও নিরাপত্তা খাতে অবদান রাখতে পারেন।’’

Advertisement

নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘স্বাধীনতার পর থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সংস্কারের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তা হয়নি। সেই লক্ষ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করা হয়েছে।’’ বর্তমান পুলিশি ব্যবস্থায় মানবিক হওয়া ও কোনও একটি বিবাদ ঠেকাতে পেশীশক্তির পাশাপাশি এক জন পুলিশকর্মীকে আলোচনায় দক্ষ হওয়ার প্রয়োজন। মোদী বলেন, ‘‘এই বিশ্ববিদ্যালয় কেবল পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় নয়। এটি একটি প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়। যা প্রতিরক্ষার জন্য ভবিষ্যতে জনশক্তি তৈরি করবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement