—ফাইল চিত্র।
কোভিডের পরে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু ভারতের অর্থনীতিতে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের ধাক্কা কী ভাবে সামলানো হবে, তা নিয়ে নীরবই রইলেন।
আজ বাজেট নিয়ে এক ওয়েবিনারে প্রধানমন্ত্রী ফের অন্য দেশের উপর নির্ভরতা কমিয়ে ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার কথা বলেছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশেও পেট্রল-ডিজ়েলের দাম বৃদ্ধি এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। মূল্যবৃদ্ধি থেকে আর্থিক বৃদ্ধিতেও তা ধাক্কা দেবে। আমেরিকা আজ রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে নতুন করে অশোধিত তেলের দাম নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হবে। তার মোকাবিলা কী ভাবে হবে বা সরকার কী ভাবছে, এ নিয়েও মুখ খোলেননি প্রধানমন্ত্রী।
এ বছর বাজেট পেশ হওয়ার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী বাজেটের বিভিন্ন বিষয়ে ওয়েবিনার বা ভার্চুয়াল সম্মেলনে বক্তৃতা করছেন। আজ এ রকম দশম ওয়েবিনারে বাজেট নিয়ে বক্তৃতা করলেন মোদী। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘অতিমারির পরে অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এটা আমাদের আর্থিক সিদ্ধান্ত ও অর্থনীতির মজবুত ভিতের প্রতিফলন।’’ অর্থনীতির বৃদ্ধিকে ধরে রাখতে সরকার বিদেশি লগ্নিতে উৎসাহ, পরিকাঠামোয় লগ্নিতে কর ছাড়ের মতো পদক্ষেপ করছে বলেও জানান মোদী। ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে গ্রামীণ অর্থনীতিকে সাহায্য করার কথাও বলেন মোদী। বিরোধীদের প্রশ্ন, পেট্রলের সঙ্গে ডিজ়েলের দাম বাড়লে গ্রামীণ অর্থনীতিতে ধাক্কা লাগবে। বাইক-স্কুটার থেকে সেচের পাম্প চালানোর খরচ বাড়বে। মোদী সরকার সে সব কী ভাবে সামলাবে?
অর্থ মন্ত্রকের এখন মূল চিন্তা, এলআইসি-র শেয়ার বাজারে ছাড়া নিয়ে। আগামী বছরে বিলগ্নিকরণ, সরকারি সম্পত্তি বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিয়ে ঘরে টাকা তোলার পরিকল্পনাও রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দফতরের বক্তব্য, আগামিকাল প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক লগ্নিকারী ও পরিকাঠামো, আবাসন ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের সম্মেলনে বক্তৃতা দেবেন। সেখানে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ, সরকারি সম্পত্তি কাজে লাগিয়ে টাকা তোলা নিয়ে আলোচনা হবে। নীতি আয়োগ ও অর্থ মন্ত্রকের বিলগ্নিকরণ দফতর এই ওয়েবিনারের আয়োজন করছে।