প্রতীকী ছবি।
উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় আক্রান্ত পুরোহিত নিজেই ওই হামলার ষড়যন্ত্রে যুক্ত বলে দাবি করল পুলিশ। তাদের অভিযোগ, আক্রান্ত পুরোহিত অতুল ত্রিপাঠি ওরফে সম্রাট দাস পেশাদার অপরাধীকে নিয়োগ করে তাঁর উপরেই হামলা চালানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। তার পরে সেই ঘটনার দায় চাপিয়েছেন প্রাক্তন গ্রামপ্রধান অমর সিংহের উপরে। পুরোহিতের উপরে হামলার জেরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিল যোগী আদিত্যনাথ সরকার।
গত কাল যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জেলাশাসক নিতিন বনশল ও পুলিশ সুপার শৈলেশকুমার পাণ্ডে জানান, গোন্ডার টিরে মনোরমা গ্রামে রাম জানকী মন্দিরের ১২০ বিঘা জমি আছে। তা নিয়ে মন্দিরের প্রধান মোহন্ত সীতারামদাস ও প্রাক্তন গ্রামপ্রধান অমর সিংহের বিরোধিতা ছিল। আবার গ্রামপ্রধান বিনয় সি্ংহের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধিতা আছে অমর সিংহের। ফলে সীতারামদাস, বিনয় সিংহ, অতুল দাস এবং আরও কয়েক জন মিলে অমর সিংহকে ফাঁসানোর ছক কষেন।
১০ অক্টোবর রাতে রাম জানকী মন্দিরের কাছেই তিন জন দুষ্কৃতী অতুল ত্রিপাঠিকে এমন ভাবে গুলি করে যাতে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। পরে অতুলের অভিযোগের ভিত্তিতে অমর সিংহের দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অমরের খোঁজ মেলেনি। কিন্তু মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া তথ্য, সাক্ষীদের বয়ান ও অন্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে পুলিশ অন্য ষড়যন্ত্রের খোঁজ পায় বলে দাবি জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের। সীতারামদাস, বিনয় সিংহ-সহ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অতুল লখনউয়ের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।