ভারতে আমদানি করা তুরস্কের পেঁয়াজ। নিজস্ব চিত্র
পেঁয়াজের দামে এমনিতেই নাস্তানাবুদ ক্রেতারা। তার উপর ফের দাম বাড়ার আশঙ্কার কথা শোনালেন নাশিকের পেঁয়াজের পাইকারি বাজারের এজেন্টরা। তাঁদের একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্ক। ফলে এ বার বাজারে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে আরও কাঁদতে হতে পারে ক্রেতাদের।
নাশিকে পেঁয়াজের পাইকারি বাজারের এজেন্টদের একাংশ জানাচ্ছেন, তুরস্কেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তাই দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে আপাতত বিদেশের বাজারে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইস্তানবুল। কিন্তু, তুরস্কের এই সিদ্ধান্তের ফলে এ দেশে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন নাসিকের পাইকারি বাজারের এজেন্টরা। মনে করা হচ্ছে, এ বার পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়তে পারে।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি আর্থিক বছরে সাত হাজার টনের কিছু বেশি পেঁয়াজ বিদেশ থেকে আমদানি করেছে ভারত। এর মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি পেঁয়াজই এসেছে তুরস্ক থেকে। বাকি দেশগুলির মধ্যে রয়েছে ইজিপ্ট ও চিন। নিজের দেশে পরিস্থিতি আয়ত্তে থাকায় এত দিন পেঁয়াজ রফতানি করছিল তুরস্ক। কিন্তু, এ বার সেখানেও পেঁয়াজের দাম চড়তে শুরু করেছে। ফলে রফতানিতে কোপ।
আরও পড়ুন: ঠান্ডায় জমজমাট বড়দিন, বর্ষবরণে ছক্কা হাঁকাতে তৈরি হচ্ছে শীত
আরও পড়ুন: ‘ফ্লপ’ হবে সৌরভের পরিকল্পনা, তীব্র আক্রমণ প্রাক্তন পাক অধিনায়কের
গত তিন মাস ধরেই পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া। এক সময় দাম বাড়তে বাড়তে তা দেড়শো টাকার উপরেও চলে গিয়েছিল। সম্প্রতি, তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার পরেই সেই দাম কিছুটা নেমেছিল। কিন্তু, তুরস্কের সিদ্ধান্তে ফের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিল।