—ফাইল চিত্র।
‘মাইনাস সিএম’ নয়। ‘পিএম টু ডিএম’ বৈঠক নিয়ে প্রশ্নের মুখে আজ মোদী সরকারের শীর্ষ স্তর থেকে জানানো হল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে জেলাশাসকদের বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও হাজির থাকবেন। তাঁদেরও এই বৈঠকে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। জানা গিয়েছে, ২০ মে বৈঠকে থাকার আমন্ত্রণ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে চিঠি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসেছে।
গতকালই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ১৯টি রাজ্যকে চিঠি দিয়ে নির্দিষ্ট কিছু জেলার তালিকা পাঠিয়ে দিয়ে জানানো হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী ওই জেলার ডিএম বা জেলাশাসকদের সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করতে চান। সেই চিঠিতে কোথাও মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতির কথা ছিল না। আজ মুখ্যমন্ত্রীদেরও ডাকা হবে বলে কেন্দ্র জানানোয়, একে চাপের মুখে ভোলবদল হিসেবেই দেখছেন রাজ্যের কর্তারা। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, মুখ্যমন্ত্রীকে বৈঠকের বিষয়ে না জানিয়ে আগে জেলাশাসকদের বৈঠকে ডাকা হল কেন!
আজ মোদী সরকারের শীর্ষ সূত্রে বলা হয়েছে, দেশের যে ১০০টি জেলায় কোভিড কেসের সংখ্যা সবথেকে বেশি, সেখানকার জেলাশাসকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৮ ও ২০ মে দুই দফায় বৈঠক করবেন। প্রথম দিন ৯টি রাজ্যের ৪৬টি জেলার জেলাশাসকদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে। ২০ মে ডাকা হয়েছে ১০টি রাজ্যের ৫৪টি জেলার ডিএম বা জেলাশাসকদের। প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরই ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে থাকতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
রাজনৈতিক শিবির মনে করছে, মুখ্যমন্ত্রীদের ‘এড়িয়ে’ সরাসরি ‘পিএম টু ডিএম’ বৈঠক নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে আপত্তি তুলে সরব হয়েছেন, তাতেই কেন্দ্রকে নিজের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হল। কারণ মমতা মোদীর কাছে লিখিত প্রতিবাদ পত্র পাঠিয়ে, তা অন্য মুখ্যমন্ত্রীদের কাছেও পাঠিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে পদক্ষেপের
পরিকল্পনা করছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী একাধিক বার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যে সব রাজ্যে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা বেশি,