সংসদে আট সাংসদ ভোট দেননি। ছবি: পিটিআই।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করতে ভোট দিলেন দেশের সাংসদ, বিধায়কেরা। লড়াই ছিল মূলত এনডিএর প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু বনাম বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিন্হার। চিফ রিটার্নিং অফিসার পি সি মোদী জানিয়েছেন, সোমবারের ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবেই মিটেছে। ভোট পড়েছে ৯৮.৯ শতাংশ।
সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ ৬০০ জন সোমবার ভোটদান করেন। হুইল চেয়ারে চেপে ভোট দিতে এসেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, সমাজবাদী পার্টির সাংসদ মুলায়ম সিংহ যাদব। সংসদে এসে ভোট দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। সোমবার আট জন সাংসদ ভোটদানে বিরত ছিলেন। বিজেপি এবং শিবসেনার দু’জন করে সাংসদ, কংগ্রেস, শিবসেনা, সমাজবাদী পার্টি, মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি, আসাদউদ্দিন ওয়েইসির এমআইএমের এক জন করে সাংসদ সোমবার ভোট দেননি।
পঞ্জাবের শিরোমণি অকালি দলের বিধায়ক মনপ্রীত সিংহ আয়ালি ভোটদানে অস্বীকার করেন। তিনি জানান, তাঁর রাজ্যের বহু বিষয়ের এখনও সমাধান হয়নি। তা ছাড়া দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের আগে তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করেনি দল।
প্রসঙ্গত, সোমবার থেকেই সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে। তার প্রথম দিনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। নির্বাচনে জেতার জন্য প্রার্থীকে পাঁচ লক্ষ ৪৩ হাজার ২১৬টি ভোট পেতে হবে। ২১ জুলাই ফল ঘোষণা। ২৫ জুলাই শপথ নেবেন নতুন রাষ্ট্রপতি।
সোমবার ভোট চলাকালীন বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিন্হা অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রপতি ভোটে টাকা দিয়ে দল ভাঙানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ভোটদানকারীদের নিজেদের অন্তরের কথা শুনে ভোট দিতে অনুরোধ করেছেন।
রাজনৈতিকমহলের মতে, দ্রৌপদী মুর্মুকে শেষ মুহূর্তে প্রার্থী করে মোক্ষম চাল দিয়েছে এনডিএ। আদিবাসী দ্রৌপদীকে প্রার্থী করার কারণে অনায়াসে ওড়িশার নবীন পট্টনায়েকের দল বিজেডি এবং ঝাড়খণ্ডের শাসকদল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সমর্থন পেয়েছে। দ্রৌপদী আগে ওড়িশার বিধায়ক এবং ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল ছিলেন। এই দুই দলের সমর্থন মেলায় মুর্মুর জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছে। উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনাও দ্রৌপদীকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে।