দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিন্হা। সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন চলাকালীন।
টাকা দিয়ে দল ভাঙানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে— অভিযোগ করলেন খোদ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিন্হা। তিনি এ-ও বলেছেন যে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এই দল ভাঙানোর কাজে সরকারি এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করা হয়েছে! সোমবার দেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন চলাকালীনই দিল্লিতে দাঁড়িয়ে এই অভিযোগ আনেন যশবন্ত। তবে একই সঙ্গে ভোটারদের কাছে তাঁর আর্জি, আপনারা যদি গণতন্ত্রকে বাঁচাতে চান, তবে আমাকেই ভোট দিন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শাসকদলের মনোনীত প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদীর নীতির কড়া সমালোচক একদা বিজেপি নেতা এবং মন্ত্রী যশবন্তকে প্রার্থী করেছিল বিরোধীরা। তবে শাসক এবং তাদের সঙ্গীদলগুলির সমর্মথনপুষ্ট দ্রৌপদীর সামনে প্রথম থেকেই দুর্বল ছিল যশবন্তের ভোটে জেতার সম্ভাবনা! তার ওপর শিবসেনা, অকালি-সহ বেশ কিছু বিরোধী তাঁকে সমর্থন না করে দ্রৌপদীকেই সমর্থন করায় আরও কিছুটা বিপন্ন হন যশবন্ত। তবে তার পরও তিনি প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন। গণতান্ত্রকে রক্ষা করতে হলে তাঁকেই ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন, শাসক এবং বিরোধীদলের সাংসদ বিধায়কদের কাছে। তবে সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বেশ কয়েক ঘণ্টা পর কিছুটা হতাশই শোনায় যশবন্তকে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিধায়ক এবং সাংসদদের সার্বিক গোপনীয়তার সুরক্ষা দেওয়া হয়। গোপন ব্যালটে ভোট হয়। যাতে কেউ নিজেদের আসল মতামত প্রকাশ করতে দ্বিধা না করেন। কিন্তুু তারপরও টাকার খেলা চলছে। সরকারি এজেন্সিকে ব্যবহার করে দল ভাঙানোর কাজ চলছে।
সংসদের বাইরে যখন এ কথা বলছেন যশবন্ত তখন সবে এক ঘণ্টা হয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের। ভিতরে চলছে ভোট দান পর্ব। বাইরে দাঁড়িয়ে যশবন্ত জানান, তিনি ভোট দাতাদের সদবুদ্ধির উপর আস্থা রাখছেন। কেন না তাঁর মতে, ‘‘দেশে কী ধরনের গণতন্ত্র চলবে তার পরবর্তী পথ নির্ধারণ করবে এই নির্বাচনই। আমি আশা রাখব আমার সহকর্মী এবং অন্য ভোটদাতারা নিজেদের বিবেক এবং বুদ্ধি ব্যবহার করবেন।’’
যশবন্ত জানান, তিনি শুধু রাজনীতির লড়াই লড়ছেন না। তাঁর লড়াই অনেকটাই সরকারি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধেও। যা কি না ইদানিংকালে অত্যন্ত ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছে। যশবন্তের কথায়, ‘‘এই কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোই দল ভাঙছে। মানুষকে বাধ্য করছে শাসকদলের পক্ষে ভোট দিতে।’’