ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের এক দিন আগে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু বললেন, তিনি প্রার্থী হওয়ায় দেশের জনজাতি ও মহিলারা আনন্দিত। আজ দিল্লিতে এনডিএ সাংসদদের সামনে হাজির হয়ে দ্রৌপদী মুর্মু আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁদের সকলের সমর্থন চান। সেখানেই মুর্মু বলেন, ‘‘আমাকে প্রার্থী করায় আদিবাসী ও মহিলাদের মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে দশ কোটি জনজাতির মানুষ রয়েছেন। আদিবাসীদের মধ্যে সাতশোর বেশি সম্প্রদায় রয়েছে। সকলেই আমার মনোনয়নে আনন্দিত।’’
সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মু বনাম যশবন্ত সিন্হার লড়াইয়ে দেশের প্রায় ৪,৮০০ জন সাংসদ ও বিধায়ক ভোট দেবেন। বিজেপি নেতৃত্বের হিসাব অনুযায়ী, দ্রৌপদী মোট ভোটের অন্তত ৬২ শতাংশ ভোট পেয়ে জিততে চলেছেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারে যশবন্ত সিন্হা প্রায় রোজই মুখ খুলে নিজের কথা বললেও মুর্মু প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।
আজ আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেছেন, রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন হচ্ছে। এটা রাষ্ট্রপতি ভবনে মূর্তি বসানো নয়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমরা রাষ্ট্রপতি ভবনে কোনও মূর্তি চাই না। সবাই যশবন্ত সিন্হার কথা শুনেছেন। কিন্তু শাসক দলের প্রার্থীর কথা শোনাই যায়নি। সংবাদমাধ্যমও তাঁর কথা শোনেনি।’’
বিরোধী শিবিরের প্রার্থী যশবন্ত সিন্হা গোটা দেশ জুড়ে প্রচার করেছেন। আজ তিনি সব দলের কাছেই ভোট চেয়ে বলেছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কোনও ব্যক্তির লড়াই নয়। মতাদর্শের লড়াই। তিনি দেশের গণতন্ত্র রক্ষার পক্ষে লড়ছেন। বিপরীত দিকে মুর্মুকে যাঁরা প্রার্থী করেছেন, তাঁরা রোজ গণতন্ত্রের উপরে হামলা চালাচ্ছেন।
যশবন্ত যা-ই বলুন, বিজেপি মনে করছে, দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়ে মুর্মু দেশের প্রথম আদিবাসী মহিলা হিসেবে পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেবেন। গত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রামনাথ কোবিন্দ ৬৫.৬৫ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছিলেন। এ বার ১০ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৩১ ভোটের মধ্যে দ্রৌপদী মুর্মু ৬.৬৭ লক্ষের বেশি ভোট পাবেন বলে বিজেপির হিসেব। কারণ বিজেপি তথা এনডিএ-র বাইরেও বিজেডি, ওয়াইএসআর কংগ্রেস, বিএসপি, তেলুগু দেশম, জেডিএস, অকালি দল, শিবসেনা, জেএমএম মুর্মুকে সমর্থন করছেন। এর বাইরে অন্য দলের অনেকে মুর্মুকে ভোট দিতে পারেন।
বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা শনিবারই দলের সাংসদদের বলেছিলেন, এনডিএ-র ১০০ শতাংশ ভোট যাতে মুর্মুর ঝুলিতে পড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে। আজ সংসদে এনডিএ সাংসদদের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার বিষয়ে ‘মক ড্রিল’ করানো হয়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সাংসদ, বিধায়কদের ব্যালটে প্রথম, দ্বিতীয় পছন্দ জানিয়ে ভোট দিতে হয়। এখানে ইভিএম ব্যবহার করা হয় না। বেগুলি রঙের কালির পেন দিয়ে ভোট দিতে হবে। সাংসদদের জন্য থাকবে সবুজ ব্যালট পেপার, বিধায়কদের জন্য গোলাপি রঙের।