ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো উপরাষ্ট্রপতি পদে আগ বাড়িয়ে প্রার্থী দেওয়ার পথে হাঁটবে না তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক সূত্রের মতে, শুধু তৃণমূল নয়, কংগ্রেস-সহ বিরোধীরাও আপাতত এ ব্যাপারে বুঝে পা ফেলতে চাইছে। সূত্রের বক্তব্য, এনডিএ-র প্রার্থী কে হবেন, তা দেখেই সিদ্ধান্ত নেবেন বিরোধীরা।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে অবশ্য আজ কথা শুরু করেছেন বিরোধী দলগুলির নেতাদের সঙ্গে। কিন্তু কোনও নাম আলোচনায় উঠে আসেনি। কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে যো গাযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কংগ্রেসের নীতি ছিল প্রার্থী না দেওয়ার। এখানেও একই অবস্থান নিয়েছে সনিয়া গান্ধীর দল। কংগ্রেসের বক্তব্য, তারা নিজেরা কোনও প্রার্থীর নাম দিলে তৃণমূল, টিআরএস, আপ-এর মতো দল আপত্তি তুলবে। তবে সূত্রের মতে, কংগ্রেসের প্রাথী না দেওয়ার আসল কারণ হল, হারা ম্যাচে তারা নিজেদের লোককে নামাতে চায় না। বরং এখন নিজেকে শক্তিশালী করায় বেশি মনোযোগ দিতে সক্রিয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিছুটা আগ্রাসী হয়ে তারা দলের কর্মীদের চাঙ্গা করতে চাইছে। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের পরাজয় সুনিশ্চিত। সূত্র বলছে, সংখ্যার হিসাবে বিজেপি একাই তাদের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে সক্ষম। ফলে এ হেন নির্বাচনে যেচে পরাজয়ের দাগ লাগাতে চাইছে না কংগ্রেস।
একই ভাবে, তৃণমূলও প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করতে নারাজ। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে তাদের বিশেষ লাভ হয়নি। বরং তৃণমূল প্রস্তাবিত তিন জন নেতাই প্রার্থী হতে রাজি হননি।
সম্প্রতি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন এনডিএ আগে যদি রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম জানাত তাহলে তিনি ভেবে দেখতেন। কংগ্রেসের বক্তব্য, মমতা খুব বিতর্কিত কিছু বলেননি। কারণ এনডিএ আগে তাদের প্রার্থীর নাম জানায়নি। জানালে কী হত না হত, তা পরের প্রশ্ন। কংগ্রেস জানিয়েছে, তৃণমূল বা অন্য কেউ যদি কোনও নাম প্রস্তাব করে তাঁকে সমর্থন করা হবে। তবে আগে এনডিএ প্রার্থীকে দেখে নেওয়ার কথা ভাবছে তারাও। এটাও মাথায় রাখা হচ্ছে, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রয়োজন। কারণ তাঁকে রাজ্যসভাও চালাতে হবে।
রাজনৈতিক সূত্রের খবর, এনডিএ মুখতার আব্বাস নকভিকে প্রার্থী করতে পারে। উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডুকে পুনরায় প্রার্থী করা নিয়ে গুঞ্জন চলছে ঠিকই, কিন্তু তাঁর রাজি হওয়ার সম্ভাবনা কম। আরও যে নামটি এনডিএ শিবির থেকে উঠেছিল, সেটি ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ। তবে তিনি খুবই অসুস্থ। তাঁর পরিকল্পনা নিজের গড়া পঞ্জাব লোক কংগ্রেসকে, বিজেপি-র সঙ্গে মিশিয়েদেওয়ার। ক্যাপ্টেন চাইছেন, তারপর তাঁর মেয়েকে বিজেপির একটি পদ দেওয়া হোক।