রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ফাইল চিত্র।
স্বয়ং রাষ্ট্রপতি এই জেলার মানুষ। দেশের সম্ভাব্য প্রথম নাগরিক হিসাবে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই রাতারাতি প্রচারের আলোয় চলে এসেছিল ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলা। এ বার এই জেলা পেতে চলেছে বিমানবন্দরও।
ব্রিটিশ আমলের একটি পরিত্যক্ত বিমানবন্দর এই জেলায় আগেই ছিল। সেটাকেই সংস্কার করে পুনরায় চালু করতে চেয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছিল ওড়িশা সরকার। মঙ্গলবার মন্ত্রকের তরফে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু করার কথাও বলা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আপৎকালীন ভাবে অস্থায়ী এই বিমানবন্দরটি তৈরি করেছিল ব্রিটিশরা। ১৯৪৫ সালে বিশ্বযুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিমানবন্দরটি কার্যকর ছিল। স্বাধীনতার পর প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে গবেষণা ও মানোন্নয়নের জন্য ১৬০.৩৫ একর জায়গাটির মালিকানা পায় সরকারি সংস্থা ডিআরডিও।
জানা গিয়েছে, ময়ূরভঞ্জের জেলাসদর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাসগোবিন্দপুরে এই বিমানবন্দরটি তৈরি হবে। বিমানবন্দর করার জন্য জায়গাটি ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছে ডিআরডিও। তবে তার জন্য ওড়িশা সরকারকে ২৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ হিসাবে দিতে হবে।
বিমানবন্দরটি চালু হলে ওড়িশার উত্তরাংশের সঙ্গে বাকি অংশের যোগাযোগ আরও নিবিড় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানত সিমলিপাল, চাঁদিপুর, তালসারির সমুদ্রসৈকতের মতো পর্যটনস্থলগুলির সঙ্গে ভুবনেশ্বর বা কটকের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও মসৃণ হবে।