আগরতলা থেকে কলকাতামুখী ট্রেনের উদ্বোধন করছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সঙ্গে আছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। ছবি পিটিআই।
আগরতলা পর্যন্ত গুয়াহাটি-কলকাতা রেলপথের সম্প্রসারণ হল বৃহস্পতিবার। সবুজ পতাকা নেড়ে আগরতলা থেকে কলকাতামুখী একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। একই সঙ্গে আগরতলা-জিরিবাম জনশতাব্দী এক্সপ্রেসেরও নতুন গন্তব্য হল মণিপুরের খংসাং। এই নতুন যাত্রাপথেরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি।
প্রসঙ্গত, ১২ থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত ত্রিপুরা এবং অসম সফরে রয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এই তিন দিন ঠাসা কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকবেন তিনি। উদ্বোধন করবেন একাধিক সরকারি প্রকল্পের। কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস করারও কথা আছে তাঁর। অসমের ধুবড়িতে একটি মেডিকেল কলেজের শিলান্যাস করবেন তিনি। অসম সরকার, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ এবং রেল মন্ত্রকের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন কথা তাঁর। বৃহস্পতিবার গুয়াহাটির প্রশাসনিক কৃত্যক কলেজে রাষ্ট্রপতির সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে সমাজের বিশিষ্ট মানুষদের সঙ্গে আলাপচারিতা করতে পারেন তিনি। পরের দিন, অর্থাৎ শুক্রবার গুয়াহাটি থেকে লামডিং রেলপথের সম্প্রসারিত অংশ নাগাল্যান্ডের শোখুভি এবং মেঘালয়ের মান্ডিপাথারের উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি।
নিজের সফরের প্রথম দিনেই রাষ্ট্রপতি আগরতলার দুর্গাবাড়ি চা বাগানের মহিলা চা শ্রমিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি মেয়ে এবং শিশুদের শিক্ষার উপর জোর দেওয়ার কথা বলেন। ত্রিপুরা সফরে সেই রাজ্যের ‘জুডিশিয়ার অ্যাকাডেমি’র উদ্বোধন করেন তিনি। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের। সেখানে মহিলা নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে গার্ড অফ অনার দেন। রাষ্ট্রপতি জানান, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উত্তর-পূর্ব ভারতের ‘প্রয়োজনীয় ক্ষমতা’ রয়েছে।