রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। —ফাইল চিত্র।
এক দেশ এক নির্বাচন করতে সংসদে গত শীতকালীন অধিবেশনে দু’টি বিল এনেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। যা বর্তমানে যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি)-র কাছে রয়েছে। দেশে একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন করানোর ব্যাপারে সরকার যে উদ্যোগী হয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্-সন্ধ্যায় আজ তার প্রশংসা করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর কথায়, নীতিপঙ্গুত্ব এড়াতে এ ধরনের সাহসী পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে।
দীর্ঘ সময় ধরেই দেশে একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন করার পক্ষে সওয়াল করে এসেছেন নরেন্দ্র মোদীরা। বিজেপি শিবিরের যুক্তি, রাজ্য ও কেন্দ্রে একসঙ্গে নির্বাচন হলে কোষাগারের সাশ্রয় হবে, নির্বাচনী আচরণবিধির কারণে থমকে থাকবে না উন্নয়নের কাজ। গত শীতকালীন অধিবেশনে এই সংক্রান্ত দু’টি বিল পেশ করে সরকার। বিলটি নিয়ে বিরোধীদের প্রবল আপত্তি থাকায় তা জেপিসি-তে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আজ নিজের বক্তব্যে সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘এ ধাঁচের বড় মাপের সংস্কারমুখী পদক্ষেপ করার জন্য সাহসী ও দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন হয়। এই উদ্যোগ সুশাসনকে নতুন মাত্রা দিতে সক্ষম। এক দেশ এক নির্বাচন ব্যবস্থা কার্যকর হলে এক দিকে যেমন অর্থের অপচয় রোখা সম্ভব হবে, আর্থিক বোঝা হ্রাস হবে, তেমনই নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে যে জড়তা সৃষ্টি হয় তা দূর হতে পারে।’’
যদিও বিরোধীদের বক্তব্য, এক দেশ এক নির্বাচনের মাধ্যমে রাজ্যের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করতে চাইছে কেন্দ্র, যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। বিরোধীদের দাবি, সংবিধান সংশোধনী ওই বিল পাশ করাতে হলে সংসদে যে পরিমাণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন, তা নেই সরকারের। তাই কোনও ভাবেই ওই বিল পাশ করাতে পারবে না মোদী সরকার। বাস্তব চিত্র জেনেও রাজনীতি করতেই বিলটি আনা হয়েছে।