ছবি: পিটিআই।
দুধ এবং জলে নিকেল, সীসার মতো ধাতব পদার্থের উপস্থিতিই অন্ধ্রপ্রদেশের এলুরুতে ‘অজানা রোগ’-এর উৎস। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে প্রকাশিত রিপোর্টে তেমনটাই দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনায় অসুস্থের সংখ্যা সাড়ে চারশো ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে এক জনের।
‘অজানা রোগ’-এ অসুস্থতার কথা প্রকাশ্যে আসতেই এলুরুতে ছুটে যায় এমস-এর একটি বিশেষজ্ঞ দল। রাজ্যের বিশেষজ্ঞ দলও বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে। মঙ্গলবার এমস এবং রাজ্যের বিশেষজ্ঞ দল মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়, জল এবং দুধে মিশে থাকা সীসা এবং নিকেলের মতো ধাতব পদার্থের কারণে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বহু মানুষ।
মুখ্যমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, মোট ৫০৫ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার মধ্যে ৩৭০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ১২০ জনের চিকিৎসা চলছে।
ঘটনার পর পরই মনে করা হয়েছিল কীটনাশক থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এলুরুর বাসিন্দারা।বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক অনুমান ছিল, কীটনাশকে ব্যবহৃত অর্গানোক্লোরিন রাসায়নিকই এতগুলো লোকের অসুস্থতার কারণ। অর্গানোক্লোরিন মূলত ক্লোরিনেটেড হাইড্রোকার্বন। যা কৃষিকাজে কীটনাশক হিসেবে এবং মশা মারার কাজে ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন: ট্রাক্টর নিয়ে ঢুকব প্রজাতন্ত্র দিবসের কুজকাওয়াজে, হুঙ্কার কৃষক নেতার
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন রেড্ডি গোটা বিষয়টির দিকে নজর রাখছেন। সোমবারই অসুস্থদের সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে দেখা করে আসেন তিনি। গত শনিবার হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন এলুরু একের পর এক বাসিন্দা। অনেকে অচৈতন্য হয়ে পড়েন। কেউ কেউ আবার বমি করতে থাকেন। মাথা ব্যথা, উদ্বেগ, মাথা ঘোরার মতোও উপসর্গ দেখা দেয় অনেকের মধ্যে।