ভারত-চিন দুই দেশের সমঝোতার পর সিকিমের নাথু লা হয়ে এবারই প্রথম কৈলাস যাত্রার ছাড়পত্র পেয়েছেন তীর্থযাত্রীরা। সরকারি সূত্রের খবর, এবার সিকিম দিয়ে পাঁচটি দলকে কৈলাস মানস সরোবরে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে বিদেশ মন্ত্রক। এরমধ্যে প্রথম দলের ৫২ জন গত ১৩ জুন দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন। বিদেশ মন্ত্রকের নিয়মানুযায়ী স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভিসা-সহ যাবতীয় নথিপত্র সংগ্রহের পর দলটি বুধবার দিল্লি থেকে বিমানে শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে গ্যাংটকে পৌঁছবে।
১৮ জুন গ্যাংটক থেকে ১৫ মাইল, শেরাথাং, কাংমা, লাজি হয়ে দলটি কৈলাসের দিকে যাত্রা করবে। সিকিম পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, এত দিন দেশের উত্তরাখন্ডের লিপুলেখ পাস হয়ে তীর্থযাত্রীরা কৈলাস মানস সরোবরে যেতেন। দুর্গম পথে ২৫ দিনের ওই সফর রীতিমত কষ্টকর এবং কঠিন। প্রায় ২১,৭৭৮ ফুট উচ্চতায় কৈলাসে পৌঁছতে অনেকটা রাস্তা হেঁটেই উঠতে হয় তীর্থযাত্রীদের। যা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না। সেইদিক থেকে সিকিমের নাথু লা হয়ে কৈলাসে পৌঁছানোর পথটি অনেকটাই ভাল। এই রুটের প্রায় পুরো অংশটাই তীর্থযাত্রীরা বাসে করে যেতে পারবেন। কৈলাসে পৌঁছানোর পর কিছুটা অংশ কেবলমাত্র হেঁটে যেতে হবে তাঁদের।
উত্তরাখন্ড দিয়ে কৈলাসে যেতে মাথা পিছু খরচ দেড় লক্ষ টাকা। সেখানে সিকিম দিয়ে যেতে খরচ হচ্ছে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। সিকিম দিয়ে যাওয়া দলটি ২৬-২৮ জুন কৈলাস এবং মানস সরোবর এলাকায় পৌঁছাবে। ২ জুলাই দলটি নাথু লা হয়ে গ্যাংটকে ফিরে আসবে। ৫ জুলাই পুরো দলটি ফের বাগডোগরা হয়ে দিল্লি ফিরবে। ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা শেষ করা হবে বলে সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে ওই তীর্থযাত্রীদের বিমানবন্দরেই স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নিয়েছে সিকিম সরকার। পূর্ব সিকিমের জেলাশাসক প্রভাকর বর্মার মতে সিকিমের পযর্টনের ক্ষেত্রে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইস্টার্ন হিমালয়া ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘নাথু লা হয়ে কৈলাস যাত্রায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই এলাকার পরিচিতি বাড়বে।’’
মূলত কৈলাস পর্বত, মানস সরোবর লেক এবং কেজা মন্দির দর্শনের জন্যই প্রতিবছর বিদেশমন্ত্রকের দ্বারস্থ হন ভ্রমণার্থীরা।