ছবি: পিটিআই।
টানা বৃষ্টিতে গত কয়েক দিন ধরেই মুম্বইয়ে ট্রেন ছাড়ার সময়ের কোনও ঠিক নেই। এ দিকে কামরাতে বসেই প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়েছিল এক তরুণীর। স্বামী কোনও উপায় না দেখে স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা এক অটোচালকের কাছে সাহায্য চান। ত্রাতা হন তিনিই। প্ল্যাটফর্মে নিয়ে চলে আসেন অটো। তার পর অটো চালিয়েই কাছের হাসপাতালে নিয়ে যান।
রবিবারের ঘটনা। রেলের নিয়ম ভেঙে বিরার স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অটো চালানোয় গ্রেফতার করা হয়েছিল ৩৪ বছর বয়সি অটোচালক সাগর কমলাকর গাওয়াড়কে। পরের দিন তাঁকে আদালতে তোলা হলে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। এ দিকে রেলপুলিশ সাগরকে গ্রেফতার করলেও তাঁর ভূমিকায় ধন্য ধন্য পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বিরারের পুলিশকর্তা প্রবীণকুমার যাদব জানান, তরুণী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। স্বামী তাঁকে নিয়ে ট্রেনের প্রতিবন্ধী কামরায় ওঠেন। বিরার স্টেশনে এসে ট্রেন থেমে ছিল। আচমকাই প্রসব যন্ত্রণা ওঠে তরুণীর। সাগর অটোতে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু ভিড়ে ঠাসা প্ল্যাটফর্মে অটো চালানোয় সাগরের বিরুদ্ধে রেল আইনের ১৫৪ ও ১৫৯ নম্বর ধারায় (বেপরোয়া গাড়ি চালানো ও নিয়ম ভাঙা) মামলা করা হয়েছিল। পরে তাঁকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
বৃষ্টি থামছেই না পশ্চিম মহারাষ্ট্রে। কোলাপুরে এখনও বন্যা পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে। অন্তত ৫১ হাজার মানুষ বিপাকে। ক্ষতিগ্রস্ত দু’শো গ্রাম। নৌবাহিনীর পাঁচটি উদ্ধারকারী দল কোলাপুর ও সাঙ্গলিতে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস আজও রাজ্যের বন্যা বিপর্যস্ত জেলাগুলোর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। শুকনো খাবার, পানীয় জল, ত্রাণের জিনিসপত্র যাতে ঠিক ভাবে পৌঁছয়, সে বিষয়ে নজর রাখছেন তিনি। কোলাপুরের ডেপুটি কালেক্টর সঞ্জয় শিন্দে জানান, জলের তলায় চলে গিয়েছে ৩৪২টি সেতু। গাড়ি চলাচল তাই থমকে। ২৯টি রাজ্য সড়ক ও ৫৬টি রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ। শিন্দে জানান, তাঁর অফিসটিও জলমগ্ন। জেলাশাসকের দফতর অন্যত্র সরানো হয়েছে।
বিপন্ন কর্নাটকও। ২৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে। মারা গিয়েছেন পাঁচ জন।