ছবি: বানু ও সায়াবান্না। টুইটারের সৌজন্যে
ভালবেসেই দলিত যুবক সায়াবান্না শারানাপ্পা কন্নুড়কে বিয়ে করেছিলেন বানু বেগম। সেই ‘অপরাধে’ পরিবারের হাতেই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় পুড়ে মরতে হল বানু বেগমকে। স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হলেন সায়াবান্নাও।
ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের বীজাপুর জেলার গুন্দাকানালা গ্রামে। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ২১ বছরের বানু বেগম ভালবেসেছিলেন ২৪ বছরের সায়াবান্নাকে। কিন্তু ‘প্রেমিক’ নিচু জাতের হওয়ায় মেয়ের এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি বানুর পরিবার। সায়াবান্নার পরিবারের তরফেও মেনে নেওয়া হয়নি বানুকে। তাই কোনও উপায় না দেখে বানুকে নিয়ে গোয়া পালিয়ে গিয়েছিলেন সায়াবান্না। সেখানেই রেজিস্ট্রি করে বানুকে বিয়ে করেন তিনি। সম্প্রতি বানু জানতে পেরেছিলেন তিনি মা হতে চলেছেন। দু’জনেই ভেবেছিলেন সুখবর পেয়ে হয়তো তাঁদের বিয়ে মেনে নেবে দুই পরিবার। তাঁরা ঠিক করেন গ্রামে ফিরে আসবেন। সেই মতো গুন্দাকানালায় ফিরে আসেন সায়াবান্না আর বানু।
আরও পড়ুন: ন’মাসের শিশুকে চলন্ত অটো থেকে ছুড়ে ফেলে গণধর্ষণ মাকে!
ঘটনা অন্য দিকে মোড় নেয় এর পরেই। সায়াবান্না পুলিশকে জানায়, মেনে নেওয়া তো দূরের কথা তাঁদের উপর নিয়মিত অত্যাচার চালাতে থাকে বানুর পরিবার। বার বার হুকমির মুখেও পড়তে হচ্ছিল তাঁদের। কিন্তু তার ফল যে এতটা ভয়াবহ হবে তা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি তাঁরা। গত শনিবার রাতে পরিস্থিতি চরমে পৌঁছয়। হঠাৎই ওই দম্পতির উপর চড়াও হয় বানুর পরিবার। দু’জনকেই অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। কোনও রকমে প্রাণে বেঁচে স্থানীয় থানায় পৌঁছন সায়াবান্না। পুলিশকে সমস্ত কথা জানিয়ে স্ত্রীকে বাঁচানোর অনুরোধ করেন।
কিছু ক্ষণের মধ্যেই পুলিশ তাঁকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাড়িতে যায়। কিন্তু, তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। বেধড়ক মারধরের পর বানুর গায়ে আগুন দিয়ে দিয়েছিল তাঁর পরিবার। তালিকোটার ডেপুটি পুলিশ সুপার পিকে পাতিল জানান, বানুর মা, ভাই, বোন এবং শ্বশুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বানুর অন্য দুই দিদি এবং দুই ভাই এখনও পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।