দিল্লি বিমান বন্দরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।
প্রয়াগরাজে পৌঁছলেন দোলা সেন-সহ তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সেখান থেকে তাঁরা যাবেন খেভরাজপুরে। উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল কংগ্রেসের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে তৃণমূল প্রতিনিধি দলের রওনা হওয়ার খবর দিয়ে লেখা হল ‘তোমার হাতে রক্তের দাগ যোগী আদিত্যনাথ’।
তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সদস্য সাকেত বলেছেন, ‘‘প্রয়াগরাজে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। বিজেপি নিজের রাষ্ট্রশক্তির ক্ষমতা দিয়ে সমস্ত সংবাদমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। তাই ঘটনাটির ভয়াবহতা প্রকাশ্যে আসেনি। উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার এবং বিজেপি যে রাজ্য শাসনে ব্যর্থ হয়েছে, সে কথাই জনসমক্ষে তুলে ধরব আমরা।’’
প্রয়াগরাজ রওনা হওয়ার আগে এক ভিডিও বার্তায় সাংসদ দোলা বলেছেন, ‘‘আমরা পাঁচজন প্রয়াগরাজে যাব তারপর খেবরাজপুরে যাব। নিহতদের পরিবার পরিজনদের সঙ্গে কথা বলব। কথা হলে বিষয়টি আমরা আমাদের দলকে জানাব। দেশবাসীকেও ঘটনাটির সত্যতা প্রসঙ্গে অবগত করব। নিহতের আত্মীয়েরা কেমন আছেন? কি চাইছেন? সেইসব জানতেই আমরা সেখানে যাচ্ছি। আমরা আমাদের সাধ্যমত তাদের পাশে দাঁড়াবো।’’
এক সপ্তাহ আগেও প্রয়াগরাজেই একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। তৃণমূলের অভিযোগ উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন সেই ঘটনাটিকেও ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। শনিবারের ঘটনাটি থেকেও যোগী সরকার নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে। চন্দ্রিমা বলেন, কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও রাজ্যটির কোনও উন্নতি হয়নি। উত্তরপ্রদশের প্রশাসনকে ডবল ইঞ্জিন ডিজাস্টার বলেও শনিবার থেকে প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল।
রাজ্যসভা তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন, বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে, জ্যোৎস্না মাণ্ডি ও উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল নেতা ললিতেশ ত্রিপাঠীকে প্রয়াগরাজের ঘটনাটির সত্য অনুসন্ধানের দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল।