উমেশের দ্বিতীয় দেহরক্ষী রাঘবেন্দ্র সিংহের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। ছবি: সংগৃহীত।
মাস দু’য়েক পরেই তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই বুধবার চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হল উত্তরপ্রদেশের বিধায়ক রাজু পাল খুনের সাক্ষী উমেশ পালের দেহরক্ষী রাঘবেন্দ্র সিংহের।
গত ২৪ ফেব্রুারি প্রয়াগরাজে বাড়ির সামনে খুন হয়েছিলেন উমেশ। সেই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হন সন্দীপ নিষাদ নামে উমেশের এক দেহরক্ষী। ওই দিনই হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। উমেশের অন্যতম দেহরক্ষী ছিলেন রাঘবেন্দ্র। তিনিও দুষ্কৃতীদের গুলিতে আহত হয়েছিলেন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রয়াগরাজের স্বরূপস্বামী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানেই গত কয়েক দিন ধরে চিকিৎসা চলে তাঁর। কিন্তু শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় লখনউ পিজিআইতে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসকরা সব রকম ভাবে রাঘবেন্দ্রকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
রায়বরেলীর লালগঞ্জ এলাকার কোরিহার গ্রামের বাসিন্দা রাঘবেন্দ্র। বাবা রামসুমের সিংহ পুলিশে কাজ করতেন। কিন্তু দীর্ঘ দিন অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় তাঁর। এর পরই ২০১৬ সালে তাঁর বাবার জায়গায় রাঘবেন্দ্রকে নেওয়া হয়। তার পর ধীরে ধীরে কনস্টেবল পদে উন্নীত হন তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য ছিলেন রাঘবেন্দ্র। তাঁরা দুই ভাই, এক বোন। রাঘবেন্দ্র ছিলেন পরিবারের বড় সন্তান। এ বছরের মে মাসের ৫ তারিখে বিয়ে স্থির হয়েছিল রাঘবেন্দ্রর। ‘এনগেজমেন্ট’ও হয়ে গিয়েছিল। আর দু’মাস পরেই বিয়ে, তাই বাড়িতে তোড়জোড় চলছিল। কিন্তু তার আগেই পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রাঘবেন্দ্রর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার।