বাংলায় আক্রমণ শানালেন ‘ওড়িশার মোদী’

প্রতাপচন্দ্র ষড়ঙ্গী— ‘ওড়িশার মোদী’ নামেই পরিচিত। রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় ধন্যবাদ জ্ঞাপনের বিতর্কে তাঁকেই প্রথম বক্তা হিসেবে বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৯ ০২:১৬
Share:

প্রতাপচন্দ্র ষড়ঙ্গী।

‘‘দাদা একটু বসে যান।…দিদি কোথায় যাবে?...কী হাল হয়ে গিয়েছে বাংলার বলুন!’’

Advertisement

তৃণমূলের সাংসদেরা তো বটেই, হঠাৎই খাঁটি বাংলা শুনে হকচকিয়ে গেলেন লোকসভার অনেকেই।

প্রতাপচন্দ্র ষড়ঙ্গী— ‘ওড়িশার মোদী’ নামেই পরিচিত। রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় ধন্যবাদ জ্ঞাপনের বিতর্কে তাঁকেই প্রথম বক্তা হিসেবে বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বক্তৃতার মধ্যে হঠাৎই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে বিঁধতে শুরু করলেন ষড়ঙ্গী। মোদী সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্পের সুবিধা বাংলা পাচ্ছে না— এই অভিযোগ তুলে বাংলায় বললেন, ‘‘আমার সোনার বাংলার ভাইবোনেরা এই অধিকার পাবেন না? কেন এত ক্রোধ? কেন এত আক্রোশ? রাষ্ট্রের পয়সা। নরেন্দ্র মোদী দেন। কিন্তু বিবেকানন্দ, ক্ষুদিরাম, অরবিন্দ, রবি ঠাকুরের ভূমিতে সেই সুবিধা মিলছে না। আপনাদের দুঃখ হচ্ছে না?’’

Advertisement

স্বভাবতই আক্রমণের লক্ষ্যে ছিলেন সামনে বসে থাকা তৃণমূলের সাংসদরা। লোকসভায় তখন বসে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ। হিন্দি, ইংরেজি, সংস্কৃত, ওড়িয়াতেই তার আগে বলছিলেন ষড়ঙ্গী। মাঝেমধ্যে গেয়েও শোনাচ্ছিলেন। শুদ্ধ বাংলায় যে আক্রমণ আসতে পারে, বুঝে উঠতে পারেননি তৃণমূলের সাংসদরা। একটু ধাতস্থ হয়ে নিজের আসনে বসেই মহুয়া মৈত্র বললেন, ‘‘কে বললেন, বাংলা সুবিধা পাচ্ছে না?’’ এর পর পাল্টা আক্রমণের দায়িত্ব নিলেন সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়েরা।

ষড়ঙ্গী যখন দেশভক্তির কথা তুলে একে একে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথা বলছেন, কল্যাণ বললেন, ‘‘বিজেপির কেউ তাতে শরিক ছিলেন না!’’ ফের বাংলায় জবাব দিলেন ষড়ঙ্গী: ‘‘আপনার মন্তব্য শুনে দয়া হচ্ছে। ইতিহাস পড়ুন। বিজেপির অস্তিত্বই তখন ছিল না। ক্রান্তিকারীর কথা শুনে কেন এত অসহিষ্ণু হয়ে পড়েন?’’ এর পরই বিজেপির সাংসদ তথা মোদী সরকারের মন্ত্রী বললেন, ‘‘ওখানে তো রামনাম, ভারত মাতা কী জয় নিষিদ্ধ হয়েছে। কেন এত অসহিষ্ণুতা? দাদা একটু বসে যান। দিদি কোথায় যাবে? যাত্রাপার্টির মতো আপনাদের ‘রোল’টা তো বদলে যাচ্ছে। আগে ক্রান্তিকারী হত বাংলা থেকে, এখন সন্ত্রাসবাদী বেরোচ্ছে, যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করছে।’’ ফের হইচই শুরু করলেন তৃণমূলের সাংসদেরা। কিন্তু নাছোড় ষড়ঙ্গী। বাংলার মনীষীদের নাম নিলেন, রবীন্দ্রনাথের কবিতা শোনালেন। তখন মুখ টিপে হাসছেন মোদী-শাহ। তাঁর পরেই বিজেপির আর এক সাংসদ হিনা গাভিত বললেন, ‘‘বাংলায় যত ক্ষণ না ক্ষমতায় আসছি, আমাদের সাফল্য শীর্ষ স্পর্শ করবে না।’’ ঠিক যে কথা বলেছিলেন অমিত।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement