প্রশান্ত কিশোর। ফাইল চিত্র
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় দেশ জুড়ে উত্তেজনার আবহে নতুন করে জোটসঙ্গী বিজেপিকে ফের বার্তা দিলেন জেডিইউ সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোর। জানিয়ে দিলেন, বিহারে কোনও ভাবেই এনআরসি ও নাগরিত্ব আইন প্রণয়ন করা যাবে না। পাশাপাশি এনআরসি-সিএএ বিরোধিতার জন্যে কংগ্রেসকেও ধন্যবাদ জানান তিনি।
শনিবার ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে কংগ্রেস নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বিরোধী প্রস্তাব পাশ করেছে। সেখানে সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, ‘‘জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার বা এনপিআর আসলে এনআরসির প্রথম ধাপ’’। নাগরিক আইনকে ‘ধর্মীয় বৈষম্য তৈরির একটি হাতিয়ার’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সেই প্রেক্ষিতেই এ দিন টুইট করেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি লেখেন, ‘‘এনআরসি ও সিএএ প্রত্যাখ্যান করার জন্য কংগ্রেসকে ধন্যবাদ। এর জন্য রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর বিশেষ ধন্যবাদ প্রাপ্য।’’
এনআরসি-র বিরোধিতা করলেও, লোকসভায় নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভোটাভুটিতে কেন্দ্রের পক্ষেই ভোট দিয়েছিল নীতীশ কুমারের জেডিইউ। কিন্তু এ নিয়ে শুরু থেকেই প্রশান্ত কিশোরে অবস্থান ছিল বিপরীত মেরুতে। সিএএ-কে সমর্থন জানানোয় দলের তীব্র সমালোচনাও করেন তিনি। একই সঙ্গে এনআরসি এবং সিএএ-র বিরুদ্ধে পথে না নামায়, কংগ্রেস নেতৃত্বকেও একহাত নেন তিনি।
প্রশান্ত কিশোরের টুইট:
কিন্তু গত কয়েক দিনে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও পাল্টেছে। এনআরসি এবং সিএএ ইস্যুতে বিরোধীদের একজোট করতে মাঠে নেমেছেন খোদ সনিয়া গাঁধী। রাহুল গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও বিরোধিতায় অংশ নিয়েছেন। তার পরেই কিছুটা হলেও সুর নরম করতে দেখা গেল প্রশান্ত কিশোরকে।