পরিবারতন্ত্র নিয়ে খোঁচা প্রশান্ত কিশোরের। —ফাইল চিত্র।
পরিবারতন্ত্র নিয়ে বার বার কংগ্রেসকে বিঁধেছে বিজেপি। অথচ পরিবারিক সূত্রে পরিচিত রাজনীতিকদের একে একে দলে জায়গা করে দিচ্ছে তারা। তা নিয়ে এ বার নাম না করে গেরুয়া শিবিরকে একহাত নিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। সেই সঙ্গে বিজেপির পথে পা বাড়ানো জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকেও কটাক্ষ করেন তিনি। তাঁর কথায়, জননেতা, রাজনৈতিক সংগঠক এবং প্রশাসক হিসাবে জ্যোতিরাদিত্যর অবদান সামান্যই।
মঙ্গলবারই কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য। দল ছেড়েছেন তাঁর অনুগামী ২২ জন বিধায়কও, যা কার্যত খাদের কিনারায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে মধ্যপ্রদেশের কমলনাথের সরকারকে। তা বিজেপি-কংগ্রেস টানাপড়েনের মধ্যেই এ দিন এ নিয়ে মুখ খোলেন প্রশান্ত কিশোর।
টুইটারে প্রশান্ত লেখেন, ‘‘পদবীর জন্য যাঁরা গাঁধীদের খুঁত ধরেন, তাঁদের কংগ্রসেকে নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাঁরা ভাবছেন এতে দলটাকে ঝাঁকুনি দেওয়া গেল। কিন্তু আসল কথা হল, পদবী ছাড়া জননেতা, রাজনৈতিক সংগঠন এবং প্রশাসক হিসাবে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার অবদান যৎসামান্যই।’’
প্রশান্ত কিশোরের টুইট।
আরও পড়ুন: অমিতের চালেই জ্যোতিরাদিত্য বিজেপিতে! জল্পনা রাজনৈতিক মহলে
আরও পড়ুন: ১০ জনপথের বিরুদ্ধে সিন্ধিয়া বিদ্রোহ, পড়ছে কমলনাথ সরকার
গ্বালিয়রের রাজ পরিবারের সদস্য জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। বংশপরম্পরায় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁদের পরিবার। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা মাধবরাও সিন্ধিয়ার ছেলে তিনি। তাঁর ঠাকুমা বিজয়ে রাজে সিন্ধিয়া ভারতীয় জন সঙ্ঘের সাংসদ ছিলেন। জ্যোতিরাদিত্যের পিসি বসুন্ধরা রাজেও বিজেপি নেত্রী। রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তিনি।