দলের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট প্রশান্ত কিশোর। —ফাইল চিত্র।
একাধিক বিষয়ে মতবিরোধের জেরে দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল আগেই। এ বার সরাসরি নীতীশ কুমার নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত জনতা দলের (জেডিইউ)-এর সমালোচনায় নামলেন ভোটকুশলী তথা রাজনীতিক প্রশান্ত কিশোর। নাগরিক সংশোধনী বিলে (সিএবি) দলের নেতারা সমর্থন জানানোয় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি বলেন, গাঁধীর আদর্শে বিশ্বাসী দলনেতাদের সিদ্ধান্তে তিনি হতাশ।
সোমবারই লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে নেয় মোদী সরকার। ভোটাভুটি শুরু হলে তাতে সমর্থন জানান জেডিইউ সাংসদরাও। দলের সাংসদ রাজীবরঞ্জন সিংহ জানান, পাকিস্তানে নিপীড়িত সংখ্যালঘু অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বিলে। তাই সেটিতে সমর্থন জানাবেন তাঁরা।
দলের এই সিদ্ধান্ত নিয়েই গতকাল রাতে নিজের টুইটার হ্যান্ডলে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘যে নাগরিকত্ব বিল ধর্মের নিরিখে মানুষের অধিকার বিচার করে, জেডিউ-কে তাতে সমর্থন জানাতে দেখে আমি হতাশ। দলের সংবিধানের প্রথম পাতাতেই যেখানে তিন বার ধর্ম নিরপেক্ষ কথাটির উল্লেখ রয়েছে, দলের নেতারা যেখানে গাঁধীর আদর্শে অনুপ্রাণিত, এই সিদ্ধান্ত সেখানে বেমানান।’’
প্রশান্ত কিশোরের টুইট।
আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব বিলে ‘ধর্মীয় বৈষম্য’, আমিত শাহের উপর নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ মার্কিন কমিশনের
আরও পড়ুন: এনআরসি-র বিরুদ্ধে জোট বাঁধার ডাক দিলেন মমতা
ভোটকুশলী হিসাবে বাংলায় তৃণমূল-কংগ্রেস, অন্ধ্রপ্রদেশে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মতো দলের সঙ্গে কাজ করেছেন প্রশান্ত কিশোর। একসময় বিজেপি এবং কংগ্রেসের মতো দলের সঙ্গেও কাজ করেছেন। পরবর্তী কালে সহ সভাপতি হিসাবে নীতীশ কুমারের জেডিইউ-তে যোগ দেন। কিন্তু বিহারে বিজেপির সঙ্গে জেডিইউ গাঁটছড়া বাঁধার পরই নানা বিষয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয় তাঁর। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, এ বছরের শুরুতে সংসদীয় নির্বাচন থেকেও দূরে রাখা হয় তাঁকে। তার পরেই এই প্রথম দলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তিনি।
এর আগে, অসমে নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) তৈরির সিদ্ধান্তেরও তীব্র সমালোচনা করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর।